জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
১১ আগস্ট ২০২৪, ০১:০১ পিএম
এখন থেকে পুলিশকে আর রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ চলবে পুলিশ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশকে আর রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। পুলিশ চলবে পুলিশ কমিশনের নিয়মে। আপনি পুলিশ কমিশনকে অর্ডার দেবেন, সেটা তারা ভালো হলে করবে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্টবাদী। এই পুলিশকে ব্যবহার করেছে লাঠিয়াল বাহিনীর মতো। পুলিশকে তৈরি করে মরণাস্ত্র দিয়েছে। মরণাস্ত্র যারাই দিয়েছেন কী কারণে দিয়েছেন?...। পুলিশকে এই অস্ত্র ব্যবহার ঠিক হয় নাই।
‘এটা যাতে ভবিষ্যতে না হয় আমি অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বলছি, রাজনীতিবিদরা আমাকে পছন্দ করুক আর নাই কারুক, এখন এদেশে রাজনীতি করা ডিফিকাল্ট হবে। পুলিশকে আপনি লাঠিয়াল বাহিনীর মতো পরিচালিত করতে পারবেন না। আমি জোর দিয়ে বলছি, পুলিশ চলবে পুলিশ কমিশনে। আপনি পুলিশ কমিশনকে অর্ডার দেবেন তারা সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে আর কী করবে না।’ যোগ করেন তিনি।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আজকে অবস্থা দেখেন প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় শুনি যে ডাকাতি হচ্ছে। অনেকে ডিমোরালাইজড হয়ে গেছে। যারা অন্যায় করেছে তারা শাস্তি পাবে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আপনাকে মনে রাখতে হবে এই পুলিশকে ব্যবহার করেছে। তাদেরকে ধরেন, যারা হুকুমদাতা। আমি চেষ্টা করব, যারা হুকুমদাতা ছিল তাদের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। এটা তো কোনো কথা হলো না আপনি হুকুম দিয়ে ছেলেপেলে মারবেন, জনগণকে মারবেন আর জনগণ এটা করবে। আবার এসে দেখেন জনগণ কী করে! ছিঁড়ে ফেলবে এবার। হুকুমদাতাদের আমাদের বের করতে হবে। কারা এইভাবে পুলিশকে ব্যবহার করেছে। উদ্দেশ্যটা কি!’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ‘এ রাষ্ট্র কারও ব্যক্তিগত সম্পদ না, কারও ফ্যামিলি প্রোপার্টি না। একটা রাষ্ট্র এভাবে চলে না, একটা রাষ্ট্রের পলিটিক্স এমন হয় না। একজনের ইচ্ছেমতো রাষ্ট্র চালানো যায় না। যেটা যেই হোক।’
রাজনীতি নষ্ট হয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘পলিটিক্সটাকে এতো নষ্ট করা হয়েছে যে, আর কেউ এটা করতে পারে না। বাপ ছেলে, ছেলের বৌ, নাতি-পুতি…। আর ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করা হয়েছে। হাজার হাজার লোক মারার পরও পাওয়ারে থাকতে চায়! এটা খুব দুঃখজনক। খুবই দুঃখজনক।’
এমআইকে/এমআর