জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২২ মে ২০২২, ১০:০২ এএম
নিজেদের প্রথম নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার চেষ্টায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই আসন্ন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনকে ঘিরে সংস্থাটির পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে নানা পরিকল্পনা। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন অপরাধের বিচার ও আচরণবিধি মানাতে ধাপে ধাপে ৪৮ জন বিচারিক হাকিমকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হাকিম নিয়োগের সংখ্যা প্রয়োজনে বাড়ানোর জন্যও জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪৮ জনের মধ্যে ৩৯ হচ্ছেন নির্বাহী হাকিম আর নয়জন থাকবেন বিচারিক হাকিম।
আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে রোববার (২২ মে) পর্যন্ত। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৫ মে’র মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ ২৭ মে।
ইসির চিঠিতে এতে বলা হয়, কুসিক নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ অনুযায়ী নির্বাচনি অপরাধ রোধ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্বপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৩৯ জন নির্বাহী হাকিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদের মধ্যে আগামী ২৬ মে পর্যন্ত তিনজন, ২৭ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত নয়জন ও ১৩ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ২৭ জন নির্বাহী হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, নির্বাচনি বিভিন্ন অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে নয়জন বিচারিক হাকিম। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। সংস্থাটির আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলী সম্প্রতি নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০’ এর বিধি ৮৬-তে উল্লিখিত বিধি ৭২, বিধি ৭৪, বিধি ৭৫, বিধি ৭৬, বিধি ৭৭ এর উপবিধি (১) ও বিধি ৭৮- এর অধীন নির্বাচনি অপরাধসমূহ দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর-১৮৯৮ এর সেকশন ১৯০ এর সাব সেকশন (১) এর অধীনে আমলে নেওয়া ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচারের নিমিত্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সম্পন্ন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে তারা ১৩ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ভোটের এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
বিইউ/এএস