images

জাতীয়

‘স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি, আপনাদের পাশে আছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের আর্থিক অনুদান এবং সান্ত্বনা দেন।

রোববার (২৮ জুলাই) রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যসহ ৩৪টি পরিবারের সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আসেন।

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীও আবেগ সংবরণ করতে ব্যর্থ হন। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীর অশ্রু গড়িয়ে পড়ে।

H11

স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনাদের কাছে শুধু এই টুকু বলব, আপনারা সবর করেন। আর আল্লাহকে ডাকেন যেন এই সমস্ত খুনি-জালেম এদের হাত থেকে আমাদের দেশটা যেন রেহাই পায়। আল্লাহর কাছে আমি চাই আল্লাহ আপনাদের সবর দিক। স্বজন হারানোর ব্যথা ভোলার না, সেটা আমি জানি। তারপরও আল্লাহ আপনাদের সবর দিক, সেটা আমি চাই। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করেন যেন এর একটা বিহিত করা যেতে পারে।’

আরও পড়ুন

‘আন্দোলনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা’

নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যতক্ষণ বেঁচে আছি আপনাদের পাশে আছি। আমি আসলে আপনাদের কী বলে সান্ত্বনা দেব? শুধু এটুকু বলব যে, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা, ভাই হারানো সেই এতিম। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আছি আপনাদের জন্য, আপনাদের পাশে।’

H22

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বজন হারানোর কথা স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নাই। আমি তো বুঝি আপনাদের বেদনা। প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই-বোনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। এমনকি লাশটাও তো দেখতে পারিনি, কাফন-দাফনটাও করতে পারিনি। দেশেও ফিরতে পারিনি, ছয় বছর আসতে দেয়নি আমাকে।’

আরও পড়ুন

আন্দোলনে নিহত ৩৪ জনের পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর অনুদান

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন (দেশে) এসেছি, সারা বাংলাদেশ ঘুরছি। চেয়েছি যেন এদেশের মানুষের একটু আমার বাবা বলতেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো। আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে, এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাবে— এটা তো কাম্য না।’

H33

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মতো এই বর্বরতা, জানোয়ারের মতো ব্যবহার এটা কি কেউ করতে পারে। একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখবে পা বেঁধে! যারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তাদের বিচার করতে হবে না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। মানুষ কী দোষ করলো যে এভাবে মানুষ খুন করতে হবে! মানুষ খুন করে সরকার পতন— এটা কবে হয়, কখন হয়? সাধারণ মানুষ কী দোষ করেছে?’

আরও পড়ুন

সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

জেবি