নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ জুলাই ২০২৪, ১১:১৪ এএম
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হচ্ছে। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল তিনটা থেকে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার (২৮ জুলাই) সকালে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ-অ্যামটবের সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য দেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন বুধবার রাতে সারাদেশে বাসাবাড়িতে ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।
মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে আজ অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বৈঠকের পর তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ বিকেল তিনটা থেকে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।
মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ার পর মোবাইল ব্যবহারকারীরা ৫ জিবি ইন্টারনেট বোনাস পাবেন বলেও জানান তিনি। পলক বলেন, সব অপারেটরের গ্রাহকরাই এই সুবিধা পাবেন।
মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত হলেও ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুক, টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যথারীতি বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেওয়ার ব্যাপারে বর্তমান সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ভীতিকর পরিস্থিতিতে রাজধানীর মহাখালীর তিনটি ডাটা সেন্টার শাটডাউন করতে বাধ্য হন সেখানকার কর্মীরা।
পলক বলেন, খাজা টাওয়ারসহ মহাখালীতে তিনটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটিতে (ত্রাণ পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিচতলায়) সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। চারদিকে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই এলাকায় থাকা অন্য দুটি ডাটা সেন্টারের কর্মীরাও শাটডাউন করতে বাধ্য হন।
এমআর