জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৭ মে ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
সারাদেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে দুইজনকে নিহত এবং চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত ১১৪টি গাছ অপসারণ করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ঝড়ে আক্রান্ত ১৬৩ জনকে বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ারের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের চন্দননগরে দেয়াল ধসে নিহত একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৬)।
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের বাউফলে গাছচাপায় করিম খান (৬৫) নামে একজন নিহত হন। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহত দুইজনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি রাজধানীর অদূরে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে উল্টে যাওয়া গাড়িতে চাপা পড়া দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে ৫৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং ৩৩ বছর বয়সী নারী। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সংস্থাটি জানায়, ফায়ার সার্ভিসের টিমের উদ্ধার টিমের সদস্যরা দিনব্যাপী কাজ করেছেন। তারা ঝড়ে রাস্তায় পড়ে যাওয়া গাছ অপসারণ করেছেন।
তাদের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি গাছ রাস্তা থেকে এবং দুটি গাছ বাসাবাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগে ৫৫টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ১০টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা থেকে ১৮টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঝড়ে পড়া মোট গাছ অপসারণ করা হয়েছে ১১৪টি।
এসবের পাশাপাশি বরিশালের গলাচিপা ফায়ার স্টেশনে মোট ১২০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখনো সেখানে ৬৩ জন অবস্থান করছেন। এছাড়া একই বিভাগের বরগুনার পাথরঘাটা ফায়ার স্টেশনে ১৭ জন, ভোলা ফায়ার স্টেশনে ২০ জন এবং ইন্দুরকানি ফায়ার স্টেশনে ৬ জনকেসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে মোট ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
এমআইকে/জেবি