images

জাতীয়

ঢাকার সড়ক থেকে ‘উধাও’ অটোরিকশা, চলছে ইজিবাইক

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ মে ২০২৪, ০২:৩০ পিএম

রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার ও ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। তাদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সড়কে এমন রিকশা নেই বললেই চলে। তবে চলছে ইজিবাইক।

সোমবার (২০ মে) রাজধানীর মগবাজার ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মগবাজারের মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়নি। গলিতে দু-একটা দেখা গেলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। নিষেধাজ্ঞার ফলে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গলিগুলো এক ধরনের অটোরিকশা শুন্য হয়ে গেছে। তবে এসব গলিতে ইজিবাইক ও প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচল স্বাভাবিক আছে।

dhaka-2মগবাজার মোড়ের পাশে বাটার গলি থেকে গাবতলার উদ্দেশ্যে নিয়মিত ইজিবাইক ছেড়ে যায়। ছয়জন থেকে আটজন করে প্রতি ট্রিপে যাত্রী নেয় তিন চাকার বাহনগুলো। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসব বাহনের চলাচল স্বাভাবিক লক্ষ্য করা গেছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় গাড়ি কিছুটা কম।

একইচিত্র মগবাজার ওয়ারলেস থেকে মধুবাগের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ইজিবাইকের। স্বাভাবিক দিনের মতো যাত্রী পরিবহন করছে তারা। একদম মূল সড়কের পাশেই অস্থায়ী স্ট্যান্ড হিসেবে গলির একপাশ দখল করে যাত্রী তুলছে এসব তিন চাকার পরিবহন।

চালকরা বলছেন, অটোরিকশা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। শুনেছি ইজিবাইকও বন্ধ করতে বলেছে। তবে মহাজন চালাতে বলায় গাড়ি চালাচ্ছেন তারা। এখন পর্যন্ত কেউ বাধাও দেয়নি। আবার ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি মানতে নারাজ অনেক চালক।

অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার বন্ধের নির্দেশকে কেউ কেউ স্বাগত জানালেও তারা বিকল্প চলাচলের জন্য বিকল্প কিছু ভাবার ওপর জোর দিয়েছেন। ওয়ারলেস থেকে মধুবাগের উদ্দেশ্যে ইজিবাইকে ওঠা যাত্রী শায়লা ঢাকা মেইলকে বলেন, এসব গাড়ি খুবই পাতলা কিন্তু অনেক দ্রুতগতিতে চলে। এতে দুর্ঘটনা হওয়ার শঙ্কা আছে। কিন্তু এছাড়াও তো উপায় নাই। এখান থেকে রিকশায় উঠলে ৩০ টাকা ভাড়া নেয়। আর ইজিবাইকে মাত্র ১০ টাকায় চলে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য সাশ্রয়ের। সরকার যদি বন্ধ করতে চায় করুক। কিন্তু আমাদের জন্য অন্য কিছুর ব্যবস্থা করে দিক।

dhaka-3বন্ধের বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আমিনুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘এসব কয়েকদিন চলবে আরকি। সরকার বলবে, পুলিশ বাধা দেবে, রিকশাচালকরা রাস্তা আটকিয়ে গাড়ি ভাঙবে। কয়েকদিন সব বন্ধ থাকবে, এরপর আস্তে আস্তে সব চালু হবে।’

অটোরিকশা বন্ধ হলে চালকদের সাময়িক ক্ষতি হবে এবং যাত্রীদেরও কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করেন এই যাত্রী। আমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় অনেক পায়ে চালানো রিকশা আছে। ব্যাটারির থেকে ওইগুলোই বেশি। আর মটোর খুলে ওরাও পায়ে চালানো রিকশা বানিয়ে নিতে পারবে।

এমএইচ/এমআর