images

জাতীয়

নাম বদলেও রক্ষা হয়নি পি কে হালদারের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৪ মে ২০২২, ০৬:০৩ পিএম

গ্রেফতার এড়িয়ে নিরাপদে থাকতে নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন দেশের ইতিহাসে বড় আর্থিক জালিয়াতির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার।

শনিবার (১৪ মে) দুপুরে তাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। গ্রেফতারের পর তার নাম বদলের খবর জানা যায়।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা- ইন্টারপোলের রেড এলার্ট জারি করা প্রশান্ত কুমার হালদার ভারতের নাগরিকত্বও নিয়েছিলেন।

দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, শিব শংকর হালদার নামে ছদ্মবেশ ধরে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপনে ছিলেন পি কে হালদার।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৩ মে) দেশটির উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বেশ কয়েকটি বাসায় পিকে হালদারকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি এলাকাতেও পি তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয় বলে খবর প্রকাশ করেছিল ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

পৃথক ওই অভিযানে পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা, পৃতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার ছাড়াও তাদের সহযোগীদের নামে থাকা বাড়ি ও সম্পত্তিতে হানা দিয়েছিল ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি) বিভাগ। তবে সেই অভিযান সফল হয়নি।

এদিকে শনিবার জানা গেছে, ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি) বিভাগের অভিযানে পি কে হালদার ছাড়াও তার ভাইসহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ইডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। অবশ্য সেখানকার গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে এডির সদস্যরা পিকে হালদারকে নিয়ে হাতে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।

33

গত জানুয়ারিতে পিকে হালদারকে গ্রেফতারে ইন্টারপোল রেড এলার্ট জারি করে। এর আগে তিনি কানাডাতেও ‍ছিলেন বলে জানা গেছে।

হাজার কোটি টাকা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পিকে হালদার বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯৩৩ কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও হোটেল কিনেছেন। এছাড়া তিনি কানাডায় পাচার করেছেন প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ মিললেও পি কে হালদার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা বলে জানিয়েছে দুদক।

সংস্থাটি বলেছে, পিরোজপুরের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার মাত্র ১০ বছরের (২০০৯-১৯ সাল) ব্যবধানে এত সম্পদ গড়েছেন। তার বৈধ আয়ের পরিমাণ মাত্র ১২ কোটি টাকা।

বিইউ/জেবি