জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
গত ৩০ মার্চ সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর মানসিক ভারসাম্যহীন সরোয়ার পরিবার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে তিনি পরিবারকে খুঁজে পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের প্রধান শরীফুল হাসান।
তিনি জানান, দেশে আসার চার দিন পর পরিবার খুঁজে পেলেন সারোয়ার। আজ সকালেই সারোয়ারের বাবা-চাচাসহ পরিবারের সদস্যরা আমাদের ব্র্যাক অফিসে এসেছেন। পরিবার জানত না তাদের ছেলে সৌদি আরবের জেলে থেকে ঢাকায় এসেছেন। ছেলেকে পেয়ে তারা ভীষণ খুশি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পাদুয়ার বাজারের আলকরা গ্রামে।
শরীফুল জানান, গত ৩০ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় ফ্লাইদুবাই বিমানযোগে সৌদি আরবের জেলখানা থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় প্রবাসী সরোয়ার দেশে ফেরেন। ঢাকায় নেমে তিনি কিছুই বলতে পারছিলেন না। সাথে থাকা বোর্ডিং পাস ও জেলখানার কাগজ অনুযায়ী তার নাম সরোয়ার।
ফ্লাইটে আসা অন্য প্রবাসী কর্মীরা সরোয়ারকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) অফিসে দিয়ে যান। তারা জানান সরোয়ারের বাড়ি কুমিল্লা পদুয়ার বাজার। এছাড়া আর কোনো তথ্য তারাও জানেন না। কারণ সারোয়ার নিজে কিছুই বলতে পারছিলেন না। ফলে তার বাড়ি যে আসলে কোথায় আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। পরে আশকোনায় ব্র্রাক মাইগ্রেশন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারে তাকে রাখা হয়। সেই সাথে চলে তার পরিবারকে খোঁজার চেষ্টা। অবশেষে তার পরিবারকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এ কাজে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন), প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, সিভিল এভিয়েশনসহ সবার ভীষণ রকম সহযোগিতা পেয়েছি।
ব্র্রাক মাইগ্রেশন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন জানান, তিন দিনেও কোনো খোঁজ না পাওয়ার পর গতকাল সোমবার ফের ফেসবুকে লিখে সবার সহযোগিতা চান তারা। কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রুপসহ অনেকে সেগুলো শেয়ার করেন। সোমবার রাতে ফেসবুকে সেই ছবি ও লেখা দেখে সারোয়ারের বাবা ও চাচা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সরোয়ারের পরিবার জানিয়েছে, তারা তিন ভাই বোন। বছর-চারেক আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিকমতো চাকরি পাননি। কাগজপত্র ঠিক ছিল না। এরপর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এক বছর তিনি জেলে ছিলেন। জেলে থাকা অবস্থায় গত এক মাস ধরে তার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ হতে থাকে। তিনি ভারসাম্য হারান। ফলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে তারা জানতেন না সরোয়ার দেশে ফিরেছেন।
এমআইকে/জেবি