images

জাতীয়

মা-মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

৩১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

 ২০২০ সালে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানাধীন জিবধরছড়া এলাকায় একই সঙ্গে মা ও মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিনকে (২২) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ভুইগড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‌্যাব-এর অধিনায়ক লে. ক. আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী নারী ও তার মেয়ে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের জিবধরছড়া এলাকায় থাকতেন। গ্রেফতার সালাউদ্দিন এবং মামলার অন্য দুই আসামি শাকিল ও হারুন একই এলাকায় বসবাস করতেন। তারা একসঙ্গে দিনমজুরের কাজ করতেন। বেশিরভাগ সময় একসাথেই কাটাতেন। ভুক্তভোগী পূর্ব পরিচিত পলাতক শাকিল অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করেন যে, ভুক্তভোগী নারী ও তার মেয়ে সেই বাসায় একা থাকেন। তার ভাই রেলে চাকরি করেন। ফলে বাড়িতে কোনো পুরুষ নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা নজর রাখতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন

বাসার ছাদে তরুণীকে গণধর্ষণ, পলাতক আসামি গ্রেফতার

সুযোগ বুঝে তাদের পূর্বপরিচিত শাকিল ২০২০ সালের ২ অক্টোবর রাতে বাড়িতে এসে তাদের দরজায় ধাক্কা দিয়ে চাচি চাচি বলে ডাকতে থাকেন। পূর্ব পরিচিত শাকিলের ডাক শুনে তারা ঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসেন। তখন শাকিলের সাথে আরও দুজন অপরিচিত ব্যক্তি সালাউদ্দিন ও হারুনকে দেখতে পান। শাকিল জরুরি কথা আছে বলে ঘরের ভেতরে বসতে চান। মা ও মেয়ে তখন শাকিলসহ তার সহযোগীদের সরল বিশ্বাসে তাদের ঘরে বসতে দেন। পরিকল্পনা মোতাবেক কিছুক্ষণ পর শাকিল হঠাৎ তাদের ঘরে সৌর বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনজন মিলে মা ও মেয়ের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে পালাক্রমে মা ও মেয়েকে একই সাথে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। এসময় তারা ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

র‌্যাবের অধিনায়ক জানান, তারা চলে গেলে ভুক্তভোগীরা স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে বিষয়টি জানান। ইউপি সদস্য ভিকটিমদের চুনারুঘাট থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তী সময়ে ভুক্রভোগী নারী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় শাকিল, সালাউদ্দিন ও হারুনসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেন। মামলার পর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন ও শাকিল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান এবং কিশোর হারুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।

মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২১ নভেম্বর হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক গ্রেফতার সালাউদ্দিন ও পলাতক শাকিলের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেন বিচারক।

এমআইকে/জেবি