নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ মার্চ ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
চার বন্ধু মিলে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের তিন তলায় একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল নাজমুল হাসান। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে দশটায় ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন নাজমুল ও তার দুই বন্ধু। নাজমুলের লাশের খোঁজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হন্য হয়ে ঘুরছিলেন পিতা নাজমুল ইসলাম।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে লাশ খোঁজতে দেখা যায় নজরুল ইসলামকে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্তানের লাশটি খুঁজে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছিলেন সবার কাছে।
নজরুল ইসলাম জানান, নাজমুল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের কিছুক্ষণ আগে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যান নাজমুলদের এক বন্ধু। তিনিই পরেই বাকি বন্ধুদের পরিবারকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানান।
নাজমুলের মামা আনোয়ার হোসেন গাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, নাজমুল অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পাইছিল। ভার্সিটি শেষ করে বিদেশে পাঠানোর স্বপ্ন ছিল দুলাভাইয়ের (নাজমুলের বাবা)। সব পুইড়া শেষ হইয়া গেল।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাজমুলের লাশ শনাক্তে সবার কাছে সহযোগিতা চান আনোয়ার। তিনি বলেন, সবার কাছে অনুরোধ আমাদের একটু সহায়তা করেন। আমরা যেন আমাদের ছেলের লাশটা খুঁইজা পাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে অগুণের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে পুড়ে ৪৬ জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বার্ন ইউনিটে ১০ জন ও ঢাকা মেডিকেলে দুইজন ভর্তি রয়েছে। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
ঢাকা মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ভবন থেকে ৭৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৪৬ জন মারা গেছে, এর মধ্যে মরদেহ ৩৭ জনের মরদেহ হস্তান্তর হয়েছে। বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। শুক্রবার ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এমএইচ/এমএইচটি