images

জাতীয়

স্ট্রিট ফুড নিয়ে যা বলছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও আইনজ্ঞরা

আমিনুল ইসলাম মল্লিক

০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২২ পিএম

রাজধানীসহ সারাদেশেই জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। মান নিয়ে নানা অভিযোগ থাকার পরও দিন দিন এর প্রসার বেড়েই চলেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসনাত ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা মূলত স্ট্রিট ফুড ব্যবসায়ীদেরকে নিয়মিতভাবে মনিটরিং করছি।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে ঢাকা শহরের প্রায় ১৬০০ স্ট্রিট ফুড ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা স্ট্রিট ফুডকে একটা নির্দিষ্ট মডেলের মধ্যে নিয়ে আসার কাজ করছি। তবে এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশনসহ সবার সমন্বয় জরুরি। পথখাবারকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সিং প্রবিধানমালার কাজ চলমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে ২০১৫ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে অবিরত। কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ভোক্তা সাধারণ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমকেও এই আন্দোলনে শামিল হতে হবে। অন্যথায় নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ কখনো আসবে না।

পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার কর্মী মনজিল মোরসেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, আজ থেকে বিশ বছর আগে স্ট্রিট ফুড বা রাস্তায় বানানো খাবারগুলো সাধারণ মানুষ খেত। এখন কিন্তু সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন অনেক বড়লোকও স্ট্রিট ফুড খাবার খায়। ইদানিং গুলশান, নিউমার্কেট, ইস্কাটনসহ কিছু কিছু এলাকায় স্ট্রিট ফুড খাচ্ছে বড়লোকেরাও।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এগুলো বিক্রি হচ্ছে। চলছেও ভালোই। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চাইলে এসব খাবারের ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করতে পারে। কারণ স্বাস্থ্য সচেতনা সবার জন্যই জরুরি।

পরিবেশবাদী এই আইনজীবী আরও বলেন, স্ট্রিট ফুড বিক্রির সময় অনেক জায়গায় বিক্রেতাদেরকে সচেতন দেখা যায়। বিশেষ করে তারা হাতে গ্লাভস পরে কাজ করেন ও খাবার সরবরাহ করেন। তবে স্ট্রিট ফুড নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে পারে যেন খাবারগুলো হাইজেনিক হয়। সবার স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এ কাজ করতে হবে। যারা এই ব্যবসা করে তাদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সচেনতা বৃদ্ধি করা, এই ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।