নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ মে ২০২২, ০৯:২৬ এএম
রাত পোহালেই উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজও বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তবে সেই সংখ্যাটা গত কয়েকদিনের তুলনায় কম।
যাত্রী চাপের কারণে কয়েক দিন ভোগান্তি পোহাতে হলেও আজ তেমন ভোগান্তি নেই। ঈদের আগের দিন মানুষের তেমন চাপ নেই রেলস্টেশন কিংবা বাস টার্মিনালেও। মানুষ যাওয়া মাত্রই টিকিট পাচ্ছেন। যাত্রী সংকটের কারণে পরিবহনও চলছে কম। ফলে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বাধাহীনভাবে মহাসড়কে ছুটে চলছে গাড়ি।
সোমবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীদের চাপ তেমন চোখে পড়েনি। রাজধানীর অন্যান্য বাস টার্মিনালগুলোতেও ঘরমুখো মানুষের তেমন ভিড় নেই। সবগুলো বাস টার্মিনালে যাত্রী সংকট থাকায় হতাশা বিরাজ করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।
গাবতলীর বিভিন্ন কাউন্টারের লোকজন যাত্রীদের ডেকেও টিকিট বিক্রি করতে পারছেন না। যাত্রী দেখলেই বিভিন্ন কাউন্টারের শ্রমিকরা ছুটে যাচ্ছেন তাদের কাছে। যাত্রীদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে আবারও নিজ কাউন্টারের সামনে ফিরে আসছেন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, লম্বা ছুটির কারণে মানুষ আগেভাগে বাড়ি যাওয়ায় ঈদের আগের দিন যাত্রীদের এমন সংকট দেখা দিয়েছে।
বাস টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেল স্টেশনেও একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানেও তেমন নেই যাত্রীদের উপস্থিতি। তবে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক বেশি ছিল।
এদিকে যাত্রী কম থাকায় মহাসড়কে কমেছে গাড়ির সংখ্যা। এর ফলে সেসব গাড়ি যাত্রী পরিবহন করছে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে সেগুলো বাধাহীনভাবে ছুটে চলছে। কোথাও যানজট বা ধীরগতিতে গাড়ি চলাচলের খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইলে দ্রুতগতিতে গাড়িগুলোকে যেতে দেখা গেছে। সেখানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অনেক গাড়িকে দাঁড়াতে দেখা গেছে, যেগুলোতে যাত্রী কম ছিল।
বাইপাইলে আসার পর অনেক গাড়িতে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। ফাঁকা গাড়ি পেয়ে যাত্রীরাও সুযোগ বুঝে কম দামে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রায় অধিকাংশ গাড়িতেই যাত্রী কম দেখা গেছে।
কমলাপুর স্টেশনেও ঈদযাত্রার চিরচেনা ভিড় ছিল না আজ। প্রায় অধিকাংশ ট্রেনই সময়মতো স্টেশন ছেড়ে গেছে। স্টেশন ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনেই যাত্রী কম ছিল।
বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনের মতো নৌরুটের যাত্রীরাও নির্বিঘ্নে পার হচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে দুর্ভোগের শিরোনাম হয়ে আসা শিমুলিয়া ফেরিঘাটে বাধা ছাড়াই যাত্রীরা পদ্মা পার হচ্ছেন। ঘাটে এসে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে অনায়াসে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন তারা।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ভোর ছয়টায় লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও শেষ রাতে ঝড়-বৃষ্টির কারণে কয়েক মিনিট পর লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। যেসব লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে সেগুলো তেমন ভিড় নেই।
এমআর