নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ মে ২০২২, ০৮:৪৯ এএম
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র এক বা দুই দিন বাকি। শেষ মুহূর্তেও বাড়ি ফিরতে মরিয়া মানুষ। পথে নানা ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও কোনো কিছুকে পাত্তা না দিয়ে বাড়ির পানে ছুটছেন মানুষ। ভোগান্তিতে সঙ্গী করেই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাচ্ছেন মানুষ। সড়কপথ ছাড়াও রেলপথ ও নৌপথে বাড়িমুখী মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকায় এবং যানজটের কারণে মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় গাড়ির ধীরগতির কারণে বাসের জন্য যাত্রীদের টার্মিনালে বা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে৷
কমলাপুর রেল স্টেশনেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ হুমড়ি খেয়ে উঠছেন। দরজা দিয়ে ঢুকতে না পেরে অনেকে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠছেন।
রোববার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য পুরো স্টেশন। ট্রেনে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কেউ ব্যাগ হাতে ছুটছেন আবার কারও মাথায় কিংবা পিঠে ব্যাগ ঝুলছে। কেউ কেউ শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ভিড় করছেন সেখানে। যাত্রীরা ব্যাগ নিয়ে ছুটছেন কাঙিক্ষত বগির দিকে। কেউ বগির দেখা পেলেও অনেকে পাননি। আবার অনেকে টিকিট কেটেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে উঠতে পারছেন না ট্রেনে।
ট্রেনের তুলনায় বাস যাত্রায় কিছুটা ভোগান্তি কম। অন্যান্য ঈদে বাসের জন্য যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো এবারের ঈদযাত্রায় সড়কপথে কিছুটা হলেও স্বস্তি আছে। বাসের জন্য কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হলেও তা বেশিক্ষণের জন্য নয়। মহাসড়কে থেমে থেমে গাড়ি চলাচলের জন্য বাস আসতে দেরি করায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তারপরেও ভোগান্তি মাথায় নিয়েই ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ।
ঠাকুরগাঁও যাওয়ার জন্য গাবতলীতে অপেক্ষা করছিলেন মনিরুল। তিনি বলেন, ‘টিকিট পেতে কষ্ট হবে ভেবে আগাম টিকিট কিনেছিলাম। কিন্তু কাউন্টারে এসে দেখি বাস নেই। যানজটে আটকা পড়েছে। বাস পেতে নাকি আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে আগের গাড়িগুলো বেশি সময় দেরি করছে না। কিছু সময়ের মধ্যে বাস পাব বলে আশা করছি।’
শুধু মনিরুলই নন, সেখানকার প্রতিটি বাস কাউন্টারে আরও অনেককে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
গাবতলী ছাড়াও মহাখালী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রী নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটে গেছে।
সড়কের পাশাপাশি নৌ-পথেও রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ঢল। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন তারা।
সদরঘাট ছাড়াও শিমুলিয়া, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ফেরিতে করে যে যেভাবে পারছেন ঢাকা ছাড়ছেন।
এমআর