images

জাতীয়

সাভার থেকে চন্দ্রা রুটে কচ্ছপগতিতে চলছে গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ এপ্রিল ২০২২, ১০:৪৬ পিএম

ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে সাভার পর্যন্ত তেমন কোনো জটই নেই। তবে সাভারের পর থেকে চন্দ্রা মোড় পর্যন্ত গাড়ি যেন চলছেই না। দীর্ঘ ৩০ কিলোমিটারের এই পথে সময় লাগছে তিন ঘণ্টারও বেশি। অথচ গাবতলি থেকে এনাম মেডিকেল হয়ে সাভার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪০ মিনিটেই।

শানিবার (৩০ এপ্রিল) সাভারের পর আরিচা হয়ে পাটুরিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছে কিছু গাড়ি। আর উত্তরাঞ্চলের জেলার গাড়িগুলো প্রবেশ করছে টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে। এই পথে হানিফ পরিবহনের চালক জসিম বলেন, সাভার থেকে জিরানি আসতে দুই ঘণ্টা লাগছে। অথচ আমিনবাজার, এনাম মেডিকেলের সামনে কোনো জ্যাম পাইনি।

সড়কে কচ্ছপগতির ফলে যাত্রীদেরও গাড়িতে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে। সাভার থেকে বাইপাইল, বলিভদ্র, জিরানি কোথাও নেই একটু স্বস্তি। টানা জট চন্দ্রামোড় পর্যন্ত। এই পথে বড় গাড়ির সঙ্গে জট আরও বাড়িয়েছে ছোট গাড়িগুলোও।

Traffic Jam

পুলিশকেও জট নিরসনে হিমসিম খেতে দেখা গেছে। বাইপাইলের এক পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যারাতে টানা ডিউটি করছি। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। স্থানীয় লোকাল গাড়ি অনেক সময় উল্টো এসে আরও জ্যাম বাধায়।

জিরানিতে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এই এলাকার বেশিরভাগ গার্মেন্টস ছুটি হয়েছে আজ। এতে জট বেড়েছে, তবে গাড়ি চলছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

এদিকে, বাসে বসে থাকতে থাকতে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ইফতারও সারেন গাড়িতেই।

Traffic Jam

রংপুরে যাওয়ার জন্য হাসেম ভূইয়া তিনটায় গাবতলি থেকে গাড়িতে উঠেন। সাভার পর্যন্ত আধা ঘণ্টার মধ্যেই এসে বেশ খুশি ছিলেন। তবে পৌনে চারটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত আসেন জিরানি অবধি। ইফতারও করেন বাসেই। এতে বিরক্তির সুরে বলেন, গাবতলির পর সাভার পর্যন্ত জ্যাম নেই। ওইরকম ফ্রি পাইলে এতক্ষণ সিরাজগঞ্জের কাছে চলে যেতাম।

এদিকে, সন্ধ্যায় নাবিল পরিবহনের কিছু যাত্রীকে ইফতারের আগ মুহূর্তে বাস থেকে নেমে ইফতার সারতে দেখা যায়। অনেকে হাঁটাহাঁটিও করতে দেখা যায়। এ সময় তীব্র জটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দের ঈদ উদযাপন করতে অনেকেই এ দিন পিকআপ ও ট্রাকে চেপেও বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।

এভাবেই পথের দুর্ভোগ নিয়েই আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে ছুটছে মানুষ।

ডব্লিউএইচ/আইএইচ