নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মার্কার জয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জনগণের ওপর তার বিশ্বাস আছে। তার দল আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা মার্কার জয় হবে।’
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল আটটার পর রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আশা করি নৌকা মার্কার জয়লাভ হবে। আবার আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, আমরা যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে পারব। জনগণের ওপর আমার এ বিশ্বাস আছে।’
আরও পড়ুন
দেশের মানুষ ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারায় আমি দেশের মানুষের প্রতি, জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকারের বিষয় সচেতন হয়েছে। পাঁচ বছর পর নির্বাচন আসে জনগণ ভোট দেবে, সে নির্বাচনের ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পেরেছি। যদিও এখানে বিএনপি-জামায়াত জোটরা জ্বালাও-পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। ট্রেনে আগুন দেওয়ার থেকে শুরু করে মানুষ পুড়িয়ে মারা, বোমা হামলা, ককটেল মারা, এসব জঘন্য কাজগুলো তারা করেছে।
‘বিএনপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। দেশপ্রেম নাই, মানুষের কল্যাণও চায় না। তারা গণতন্ত্রের ভালো চায় না। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেই উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে, আমরা সম্পন্ন করতে চাই।’-বলেন শেখ হাসিনা।
বিএনপির ভোটে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল। তাদের হরতালের তালে বাংলাদেশের জনগণ নাচে না।
এর আগে সকাল আটটার একটু আগে প্রধানমন্ত্রী সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছান। সেখানে তার সঙ্গে ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব ছিলেন। এ সময় হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী ছবি তোলেন ও কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। সময় শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রী ভোট কক্ষে প্রবেশ করেন। তারপর তিনি ভোট দেন। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়া ও বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে।
এর আগে সকাল আটটায় সারাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দেশের ২৯৯টি আসনে চলছে ভোট উৎসব। বিরতিহীন ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
প্রায় ১২ কোটি ভোটার নিজেদের রায়ে বেছে নেবেন নিজে নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের।
নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ফলে ৩শ’ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট হবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। শুধু দুর্গম অঞ্চলের দুই হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে ভোটের আগের দিন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।
ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল এবং শনিবার মধ্যরাত থেকে আরও কিছু যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পুলিশ।
এমআর