নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক অংশগ্রহণ না হলেও এবারের নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় এমন আখ্যায়িত করা যাবে না বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিইসির ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ২৯৯টি আসনে এক হাজার ৯৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।
সব দলকে নির্বাচনে আনতে নির্বাচন কমিশন আন্তরিক ছিল জানিয়ে সিইসি বলেন, সকল দলকে নির্বাচনের সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কিন্তু সাড়া দেয়নি। সকলের সহযোগিতায় ভোট সুষ্ঠু হয়। এবারের ভোটে রাজনৈতিক অংশগ্রহণ হচ্ছে না এবং প্রত্যাশিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, তাই বলে ভোট অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না একথা বলা যাবে না।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার ঘোষণা ছিল। কিন্তু ভোট বর্জনকারী দল সেটা মানেনি।
এ সময় সিইসি জানান, ভোটগ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষভাবে ভোটের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্তসংখ্যক দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ভোট বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটিয়ে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান হাবিবুল আউয়াল। ৭ জানুয়ারির ভোট দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেবি