images

জাতীয়

কমলাপুরেই ইফতার সারলেন কয়েক হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৪২ পিএম

ট্রেন ছাড়বে রাত ৮ টায়। দ্রুতযান এক্সপ্রেসে দিনাজপুর যাবেন শরিফুল ইসলাম। ঢাকার যানযটের ঠিক নেই, আবার ট্রেনে ভিড় বেশি। কখন কি হয় বলা যায় না। তাই পর্যাপ্ত সময় ও খাবার নিয়ে ৬ টার মধ্যেই পরিবার নিয়ে উপস্থিত হন কমলাপুর রেলস্টেশনে।

শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী দুজনেই রোজা রেখেছেন। দুই বাচ্চার বয়স ৬ ও ৪ বছর। আগেভাবেই স্টেশনে উপস্থিত হওয়ায় কমলাপুরেই ইফতার সাড়লেন এই দম্পতি। বাড়ি থেকেই সেরকম প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন। স্টেশনে এসে ঠান্ডা পানি কিনতে হয়েছে শুধু। 

মাগরিবের আজান দেওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ইফতার সাজিয়ে রেখেছিলেন এই দম্পতি। আজান দেওয়া মাত্র পুরো পরিবার একসাথেই ইফতার সারলেন তারা।

এই দম্পতির মতো হাজারো মানুষকে স্টেশনেই ইফতার করতে দেখা যায়। শুধু যে যাত্রীরা ইফতার করছে তা না। কমলাপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদেরও যার যার অবস্থানে থেকে ইফতার করতে দেখা গেছে।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা র‍্যাবের সদস্যরা তাদের ছাউনির মধ্যেই ইফতার করেন। পুলিশ সদস্যদেরও একই অবস্থা। তবে, অনেকেই ইফতারের প্রস্তুতি নিয়ে কমলাপুর এলেও প্রস্তুতি ছাড়া যারা এসেছেন তাদের ইফতার কর‍তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কারণ স্টেশনের ভেতরে কোন দোকানপাট নেই। বাহির পাশে যা আছে সেখানে উপচে পড়া ভিড়। 

তবে কিছু ফেরিওয়ালাদের ঠান্ডা পানি, জুস মাথায় নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে। তাদের কাছে থেকে পানি ও জুস কিনে ইফতার করেন অনেকেই। 

অনেকেই ঝুঁকি নিতে চায় না। কারণ, ইফতার সবজায়গাতেই করা যাবে কিন্তু ট্রেন মিস হয়ে গেলে সেটি আর ফিরে আসবে না। পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার স্বপ্নই ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

এএম/ একেবি