ঢাকা মেইল ডেস্ক
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০২ পিএম
দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ছিটকে গেলেন ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত দুই প্রার্থীসহ মোট তিনজন। শিল্পপতি এ কে আজাদের একই অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।
প্রার্থিতা বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও ফরিদপুর-৩ আসনের শামীম হক এবং বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে চার কমিশনার ও ইসি সচিবের উপস্থিতিতে এই রায় দেন আপিল শুনানির সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
কার কোন দেশের নাগরিকত্ব আছে?
প্রার্থিতা বাতিল হওয়া তিনজনের মধ্যে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তবে মনোনয়নপত্রে তিনি দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার বিষয়টি গোপন করেছেন। পরে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পংকজ দেবনাথের অভিযোগের ভিত্তিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।
বাংলাদেশের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব আছে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের। পরে তার বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ আনেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি এ কে আজাদ। তার অভিযোগের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে দ্বৈত নাগরিকত্বের সত্যতা পাওয়ায় তার নাগরিকত্ব বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুকের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী। পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আপিলেও তার প্রার্থিতা বাতিল রাখা হয়। তবে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকদের সংসদ নির্বাচন করার সুযোগ নেই। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রেও তা-ই প্রযোজ্য হবে।
এইউ