নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে সেনা কর্মকর্তা বলেন, ১৩ দিনের জন্য, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের আলোচনা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। অবশ্যই সবসময় প্রস্তুতি আছে। গতবার ৩৮৮ উপজেলায় ছিল।
প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) চাচ্ছে সেনা মোতায়েন হোক। কীভাবে মোতায়েন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে রিকমেন্ডেশন করবে। রাষ্ট্রপতি যদি যদি সিদ্ধান্ত দেন, তবে অবশ্যই সেনা মোতায়েন হবে। তারা যেভাবে সহায়তা চাইবে, সেভাবেই আমরা সহায়তা করব।
এর আগে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবেন। তাদের মধ্যে আনসার সদস্য পাঁচ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র্যাব এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড দুই হাজার ৩৫০ জন ও বিজিবি সদস্য থাকবেন ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন।
গত ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও থাকবে।
গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ১-৪ ডিসেম্বর, ৬ ডিসেম্বর থেকে চলছে মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
জেবি