images

জাতীয়

আচরণবিধি লঙ্ঘনে এবার শামীম ওসমান ও সাবেক ইসি সচিবকে শোকজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৭ এএম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হচ্ছে। বিশেষ করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে বারংবার। মন্ত্রী, একাধিকবারের সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে রাজনীতিতে জড়িয়ে পরা সরকারের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বাদ পড়ছেন না। সবশেষ নির্বাচন কমিশন থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) সাবেক চেয়ারম্যান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিককে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব পালন করছেন।

দুজনকেই শনিবার (২ ডিসেম্বর) শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন

সকালে স্থগিত, বিকেলেই বৈধ রাঙ্গার মনোনয়ন

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, প্রভাবশালী সংসদ সদস্যসহ অর্ধশত প্রার্থীকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বাদ যাননি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ও জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও। তিনি এরইমধ্যে তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

শামীম ওসমানকে আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কিংবা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার (২ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাজী ইয়াসিন হাবীব নোটিশটি পাঠান।

আরও পড়ুন

সতর্ক করার পরও ফুলেল সংবর্ধনা নেন এমপি শাহজাদা!

নোটিশে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর একটি গণমাধ্যমের অনলাইন এবং প্রিন্ট সংস্করণের ৬ নম্বর পাতায় প্রকাশিত সচিত্র সংবাদ অনুযায়ী তল্লা এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তার পক্ষে ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে মিছিল ও পথসভা হয়। যাতে বর্ণিত এলাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এরূপ কার্যক্রম ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮’ এর ৬ (ঘ) এবং ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমতাবস্থায়, বর্ণিত বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণের লক্ষ্যে ৩ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২১৫ নম্বর কক্ষে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর জন্য তাকে অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন

ওসি-ইউএনওদের ঢালাও বদলিতে কী লাভ?

অন্যদিকে ড. মোহাম্মদ সাদিককে তলব ও শোকজ করে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি ড. মোহাম্মদ সাদিক সংসদীয় আসন সুনামগঞ্জ-৪ হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে গত ২৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হন। শোডাউন করে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন, যা সুনামগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জের সময়সহ বিভিন্ন পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮(ক), ১০(ক) এবং ১২ বিধির বর্ণিত বিধান লঙ্ঘন করেছেন।’

বিইউ/এমআর