জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পিএম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে মাঠে নামছেন ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকে মাঠে নামছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যবস্থাপনা শাখা। ভোটের পর দু’দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোটের দু’দিন আগে থেকে ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত (৫ থেকে ৯ জানুয়ারি) ৫ দিনের জন্য থাকবে আরও নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম। এরমধ্যে নির্বাহী হাকিমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে থাকবেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে নির্বাচনের আগে বরাবরের মতো দ্বাদশ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত রয়েছে।
আরও পড়ুন
সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রাখার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্বাহী হাকিমরা প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দুজন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দুজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োগ নিয়োজিত থাকবেন।
গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।
বিইউ/এইউ