images

জাতীয়

‘বিএনপি আসুক বা না আসুক ভোটে সেনাবাহিনী থাকবে’

জেলা প্রতিনিধি

২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক বা না করুক সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কমিশনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। আমরা প্রয়োজন বুঝে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা নেব। তবে তারা মাঠে থাকলেও বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না। কারণ এতে আইনি বাধা আছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করা হবে না। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বগুড়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনের আগে এবং পরে সবসময়ই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ঠার সাথে কাজ করবে। যত সমস্যাই আসুক উনারা সেটা মোকাবেলা করবেন সাহস ও দক্ষতার সাথে, এবিষয়ে সামগ্রিক প্রস্তুতিই রয়েছে।

বগুড়া বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস ও বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা প্রধান অতিথি ছিলেন।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ার মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেলাপ্রধান ছাড়াও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাই যতগুলো নিবন্ধিত দল আছে সবাই এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হোক, এটা আমাদের ঐকান্তিক চাওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় যারা আসতে চাচ্ছে না তাদের আমরা বারবার আহ্বান করেছি আসতে। যদি আসেন, তাহলে সিইসি মহোদয় বলেছেন, এটা আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নেব। তারা এলে কীভাবে তাদের সহায়তা দেওয়া যায় তা আমরা ভাবব, তাদের জন্য সেই সুযোগ আছে। তবে তা অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে যে মেয়াদকাল দেওয়া আছে তার মধ্যেই হতে হবে। আমাদের কোনোভাবে ২৮ জানুয়ারি অতিক্রমের সুযোগ নেই, এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।

বিএনপি অংশ না নিলে সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে কি-না জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশনে নিবন্ধিত দল হলো ৪৪টি। এরমধ্যে ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এর অর্থ সংখ্যাগরিষ্ঠই অংশ নিচ্ছে। নির্বাচনের আইনে কিন্তু এমনটি বলা নেই যে, সব দলই আসতে হবে। যারা স্বেচ্ছায় আসবে না, তাদের আমরা কীভাবে আনব? আমরাতো তাদের আনার চেষ্টা করেছি। তারা না এলে যে নির্বাচন হবে না, তা কিন্তু নয়। নির্বাচন আইনের মধ্যেই হয়ে যাবে, তাতে কোনো বাধা নেই। উনারা এলে আমরা স্বাগত জানাব।

রাশেদা বলেন, যারা কারাগারে আছেন তাদেরও ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে; তারা পোস্টাল ব্যালটে চাইলে কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। চাইলে প্রবাসীরা বা নির্বাচন কাজের সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকবেন তারাও আইন মেনে ভোট দিতে পারবেন।

প্রতিনিধি/জেবি