images

জাতীয়

তফসিলের আগেই আচরণবিধি স্মরণ করিয়ে দিল ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে নির্বাচন কমিশনে। চলতি সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে নির্বাচনের তফসিল। এরইমধ্যে তফসিলের আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আসাদুল হক গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

ইসির নির্দেশনাগুলো হলো:

অর্থ, অস্ত্র, পেশীশক্তি, স্থানীয় প্রভাব বা সরকারি ক্ষমতার দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনী জনসভা বা মিছিলের দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে আগেই স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কোনো সড়কে জনসভা করা যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের ওপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না। সরকারি ডাকবাংলো, রেস্টহাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

EC2

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং এর আয়তন অনধিক ৬০ (ষাট) সেন্টিমিটার ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) সেন্টিমিটার এবং ব্যানার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৩ (তিন) মিটার ১ (এক) মিটার হতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর দুইটা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

ইসি জানায়, কোনো প্রার্থীর পক্ষে ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণাকালে কোনো ধরনের উসকানিমূলক এবং ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দেওয়া যাবে না। কোন নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করা যাবে না।

বিইউ/জেবি