জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম
কেন্দ্রীয় যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আল মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতারের পর তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। পুলিশের দাবি, গত ২৭ থেকে ৩১ অক্টোবরের নাশকতা এবং ২৮ অক্টোবর পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ফাটিয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় এই তিন নেতা।
ডিএমপির ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ দাবি করেন, এই যুবদল নেতারা কারিগর দিয়ে তাদের বাড়িতে বোমা বানাতেন। তারা ১৯৯৯ সাল থেকে বোমা বানান বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডিবি প্রধান এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, তারা গত ২৭ তারিখ বিভিন্ন জায়গায় বোমা ফাটিয়েছেন। এছাড়া পরদিন ২৮ তারিখেও বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছেন। তারা এসব বোমা বিভিন্নজনের হাতে দিয়েছেন কি না কিংবা আগামী ৫ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে এসব বোমা বিভিন্নজনকে সরবরাহ করেছেন কি না আমরা এসব খতিয়ে দেখব।
তিনি দাবি করেন, তারা ডিবিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গান পাউডার ও একোস্টিক ওয়ান মিলে এসব বোমা তৈরি করতেন। সেগুলো আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল। এর বাইরে আর কেউ বানাচ্ছে কি না সেটা পুলিশ দেখছে। কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেফতার মাসুদের বাড়ি রাজধানীর চকবাজার এলাকায় এবং তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এমন তথ্য জানিয়ে হারুন বলেন, এই নেতারা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, তারা এসব বোমা লোকজন দিয়ে বাড়িতে বানাতেন। আগেও তারা এগুলো ফুটিয়েছেন আগামীতেও ফোটানোর পরিকল্পনা ছিল।
ডিবির হারুন বলেন, শুধু বোমা মারা নয়, আমরা যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে লাঠি নিয়ে পুলিশকে মারতে দৌড়াতে ভিডিওতে দেখেছি। আপনারা দেখেছেন যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন আমাদের পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করছেন। এটাও ভিডিওতে দেখা গেছে। তারা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন, ১৯৯৯ সাল থেকে বোমা বানান। ২০১৩-১৪ সালে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। বোমা বানাতে গিয়ে তাদের একজন নেতা মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা আবার ২০২৩ সালে এসে বোমা বানাচ্ছেন এবং আমরা তাদের গান পাউডারসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি।
এমআইকে/জেবি