জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭ এএম
রাজধানীতে ২৮ অক্টোবর দিনব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর এবং পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করবে পুলিশ। শনিবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান ডিএমপি কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, যারা হামলা,ভাঙচুর ও পুলিশ হত্যার মতো কাজ করেছেন তাদের যথাযথভাবে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারে নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ বদ্ধপরিকর। আর যেন কোন কেউ জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অনুমতি না পাওয়ার পরও সমাবেশ করেছে। তাহলে প্রশাসনের সাথে কোন আঁতাত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি তেমন নয়। আমাদের কাছে সমাবেশ করার জন্য ১৪ টি দল অনুমতি নিয়েছে। আমরা সকলকে অনুমতি দিয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম সবাই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে। বিএনপি লিখিত দিয়েছে আমরা তাদের শর্ত দিয়েছিলাম সেই শর্ত মেনে কিন্তু তাদের সমাবেশ করার কথা ছিল। যারা অনুমতি নিয়েছে সকলকে আমরা নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, সিসি ক্যামেরা বসিয়ে আমরা পুলিশি নিরাপত্তা রেখেছি। আমরা শুধু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নয়, যারা মিছিল সমাবেশ করতে এসেছে তাদেরও বিষয়টি চিন্তা করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি যাতে সকলে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ শেষ করতে পারে। যাতে কোন ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
সংবাদ সম্মেলনের কমিশনার জানান, সমাবেশ করতে আশা কর্মীরা পুলিশ রাজার বাগ হাসপাতালে হামলা চালায়, ২০ গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে, তারা কর্ণফুলী টাওয়ারের পিছনে রমনা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে, এছাড়াও সেখানে দোকানে ভাঙচুর পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করেছে। সেখানে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। এছাড়াও প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার পাশাপাশি পুলিশ জাদুঘরে ভাঙচুর চালায়। বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ছাড়াও একটি গ্রুপ পল্টন থানায় হামলার পরিকল্পনা করে। অসংখ্য বাস এবং প্রাইভেট কারে অগ্নি সংযোগ করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।