images

জাতীয়

‘হামুন’ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিসের মনিটরিং সেল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এজন্য খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল। হামুনের প্রভাব থেকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জনসাধারণকে সচেতন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে বলা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোর পক্ষ থেকে।

জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরে বা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন ১৬১৬৩ নম্বরে ফোন করার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের মোবাইল নম্বর ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯-এ ফোন করেও জরুরি সেবা গ্রহণ করা যাবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সচেতনতা সৃষ্টির এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলবর্তী জেলাসমূহের সকল ফায়ার স্টেশন থেকে গণসংযোগ ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণার কাজ চালানো হচ্ছে।

hamun-7ঘূর্ণিঝড়-পূর্ব, ঘূর্ণিঝড় সময়কালীন এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সকল কাজ সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সদর দফতর ঢাকায় খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল। এই সেল থেকে উপকূলবর্তী এলাকার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্যোগপ্রবণ এলাকার সকল ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে স্ট্যান্ডবাই ডিউটিতে রাখা হয়েছে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ফায়ার স্টেশনে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ারদেরকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, চেইন স, হ্যান্ড স, রোটারি রেসকিউ স, স্প্রেডার, মেগাফোন, র‌্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্সসহ যাবতীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Dhaka-2

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে। এসব এলাকায় জীবন ও মালামাল সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজে ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের সেবা নেওয়া যাবে। সকল আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি প্রয়োজনে উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতেও সাধারণ জনগণ আশ্রয় নিতে পারবেন। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সারাক্ষণ সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এমআইকে/এমআর