ওয়াজেদ হীরা
১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও আদর্শই ছিলো জাতির মুক্তির দলিল। কোনো অপচেষ্টাই বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম আলাদা করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু হলেন বাঙালি জাতির প্রতিচ্ছবি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর রাজধানীর পানি ভবনের সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির অভিন্ন শত্রু। যারা এ দেশকে বিশ্বাস করেনি, স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করে স্বাধীনতার ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজও ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পায়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে না হারালে বাংলাদেশ আরও আগে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো, পরিচিত পেত।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশকে সোনার বাংলায় রূপ দেওয়া। কিন্তু সে সময় রাষ্ট্রবিরোধী চক্র তা হতে দেয়নি। আজ তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বাংলাদেশকে আজ পৃথিবীর বুকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি এদেশের মানুষের সুখের জন্য সারাটা জীবন কাজ করে গেছেন। আজ আমরা তার জন্য সুখে-শান্তিতে বাস করতে পারছি। পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও জাতির সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে তার আপন মহিমায় প্রতিস্থাপন করা হলে জাতি হিসেবে সবাই গৌরবান্বিত হবে। আমৃত্যু একটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিবাদী ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার সেই স্বপ্নের বাংলাদেশের যথাযথ রূপায়ণই হবে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায়। সেই লক্ষ্যে জাতীয় শোক দিবসের প্রতিজ্ঞা হোক-শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন জনগণের নেতা। জাতির পিতাকে হত্যা করে তার নাম মুছে ফেলবে? বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের হৃদয়ে। হৃদয়ে লেখা নাম মুছে ফেলা যায় না। কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। বাঙালি জাতি চিরজীবন বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবে । স্বাধীনতা মানেই বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।
উপমন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের চেতনার মূর্ত প্রতীক। নীতির ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আপসহীন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন কোমল হৃদয় ও অসীম সহ্য ক্ষমতার অধিকারী। ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর তুলনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বনন্দিত এক নেতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু এমনই একজন নেতা যিনি কেবল বাঙালি জাতিকেই স্বাধীন করেননি, বিশ্ববাসীকে শোষিত, বঞ্চিত মানুষের মুক্তির পথ দেখিয়েছন। বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি অবিনাশী চেতনা। এই চেতনা কখনো, কোনোদিনও মুছে ফেলা যাবে না। একটি জাতির দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম আর বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে প্রয়োজন হয় একজন যোগ্য নেতার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক রমজান আলী প্রমাণিক; বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জীবন কুমার সরকার পিঞ্জ। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ সকল সংস্থা প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডব্লিউএইচ/এমএইচএম