নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ জুন ২০২৩, ১০:৩২ এএম
তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। নামাজ শেষ হতে না হতেই সকাল সাড়ে ৭টার আগেই রাজধানীতে শুরু হয়ে যায় পশু কোরবানি। সেই থেকেই রাজধানীর অলিতে-গলিতে অসংখ্য গরু-ছাগল কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি। পশু কোরবানি করতে গিয়ে মানা হচ্ছে না সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনাও। এতে করে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
রাজধানীর পল্টন, কারওয়ান বাজার, কাকরাইল, শাহবাগ, পরিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, হাজিপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মৌচাক, শান্তিনগর, বনানী, গুলশান, ফার্মগেট, তেজতুরী বাজার, তেনকুনীপাড়া, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার অধিকাংশ পশু কোরবানি শেষ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে গরুর মাংস বানানোর কাজও শেষ হয়ে গেছে।
রাজধানী পশ্চিম তেজতুরী বাজারের বাসিন্দা তুহিন মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের এলাকায় ঈদে জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাত শেষ হওয়ার সাথে সাথে এলাকার বসাই কোরবানির পশু জবাই শুরু করেন। বাসায় জায়গা না থাকায় এলাকায় অনেকেই অলির রাস্তায় পশু জবাই করেছেন।
একই এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার বাসায় পশু জবাই করার মতো জায়গা নেই। তাই রাস্তায় কোবারনির পশুটি জবাই করেছি।
এদিকে, কোরবানির পশুর মাংস বানাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা মৌসুমি কসাইদের। তারা নগদ টাকার বিনিময়ে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে মাংস বানানোর কাজটি করছেন। কেউ কেউ টাকার সঙ্গে পাচ্ছেন মাংসও।
এছাড়া বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ছুরি হাতে পাড়া-মহল্লায় গরু কোরবানি দিতে বিচরণ করতে দেখা গেছে।
পশ্চিম তেজতুরী বাজার হাফিজা মাদরাসার ছাত্র ইব্রাহীম ঢাকা মেইলকে বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ছুটি নেই। তাই পশু জবাইয়ের কাজ করছি।
সরেজমিনে মহাখালী থেকে বনানী সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মেইন রাস্তায় পশু জবাই করছেন অনেকেই। এছাড়া অলি-গলিতে বা নিজেদের বাসার সামনেই কোরবানির পশু জবাই করতেও দেখা গেছে।
কেআর/এমএইচটি