images

জাতীয়

গরুর হাটে খাবার দোকানে রমরমা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম

রাজধানীর অন্যতম কোরবানি পশুর হাট আফতাবনগরে জমে উঠেছে অস্থায়ী খাবার দোকানের ব্যবসা। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনার সাথে বাড়ছে ভিড়। আর এতেই জমে উঠেছে এসব অস্থায়ী খাবার দোকানগুলো।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) সরজমিনে আফতাবনগর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটকে কেন্দ্র করে অন্তত ১৫টি অস্থায়ী খাবার দোকান গড়ে উঠেছে। এসব দোকানে ভাত, রুটি, ভাজি, নানা প্রকারের দেশি মাছ, ডিম ও মুরগির মাংস বিক্রয় হচ্ছে। পশু বিক্রি করতে আসা খামারি ও ব্যাপারীদের পাশাপাশি ক্রেতারাও এসব দোকান থেকে খাবার খাচ্ছে।

মূলত রাজধানীর লোকালয় থেকে কিছুটা ভেতরে হওয়ায় এলাকাটিতে তেমন স্থায়ী খাবার দোকান নেই। হাট এলাকাজুড়ে শুধুমাত্র একটি বিরিয়ানি ও কাবাবের দোকান রয়েছে। সেটিও আবার পশু নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের নাগালের বাইরে। ফলে এসব অস্থায়ী দোকান থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

haat-food

তবে বেশিরভাগ বেপারী ও খামারি নিজ উদ্যোগেই রান্না করে খাবার খাচ্ছে। তবে একটা অংশ এসব হোটেলে খাবার খাচ্ছে। দোকানভেদে কৈ মাছ বা এই জাতীয় ছোট মাছ ভাজা ৫০ টাকা পিস, ডিমের ঝোল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, জাটকা জাতীয় মাছের ঝোল ৫০ টাকা, রুই-পাঙ্গাস ৬০-৭০ এবং মুরগির মাংস ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পতি প্লেট ভাত ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানতে চাইলে ভাতের দোকানি জামাল মিয়া বলেন, মেরাদিয়া বাজারে আমার ভাতের হোটেল আছে। হাট থেকে মূল সড়ক বেশ দূরে। তাই প্রতি বছরই মূল দোকানের দুই একজন কর্মচারী নিয়ে এখানে দোকান দেই, ভালোই চলে। ব্যাপারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও খাবার খায়। মোটামুটি কমদামে সবাইকে ভালো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করি।

এমনই এক ভাতের দোকানে খেতে আসা নওগাঁর খামারি ইউনুস আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা নিজেদের খাবার নিজেরাই রান্না করার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। প্রথম দিকে নিজেরাই রান্না করে খেতাম। তবে শেষের দিকে এসে হাটে লোকজনের চাপ বাড়ছে। ১২টা গরু নিয়ে এসেছি, ৫টা বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলোরও সার্বক্ষণিক দামাদামি হচ্ছে। তাই এখন আর রান্না করার সুযোগ পাচ্ছি না। তাই হোটেলে খাচ্ছি।

haat-foodদাম ও খাবারের মানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেমন দাম, তেমন খাবার। কম দামে খাবার পাচ্ছি। খাবারও সেই মানেরই। তবে খাওয়ার মতো।

জাহিন নামের এক ক্রেতা বলেন, দুপুরের আগে গরু কিনতে এসেছি। এখনও দাম ও পছন্দমতো কিনতে পারিনি। এরমধ্যে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিচ্ছি। খাবার মান এতটা খারাপ না। ঠেকার কাজ চালিয়ে নেয়া যাচ্ছে।

এদিকে, ঈদ যত নিকটে আসছে ততোই ভিড় বাড়ছে আফতাবনগরের হাটে। হাসিল অফিসের তথ্যমতে, বেলা ৩টা পর্যন্ত প্রায় চার শতাধিকের বেশি গরু বিক্রয় হয়েছে। এর পাশাপাশি ছাগল রয়েছে। শেষ বেলায় এটি আরও বাড়বে এবং আগামীকাল তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে বলে আশা করছে হাট সংশ্লিষ্টরা।

এমএইচ/এমএইচটি