images

জাতীয়

ব্যবসা এখন কাঁঠাল পাতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ জুন ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম

ঈদুল আজহাকে ঘিরে কোরবানির পশুতে ভরে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। অনেকে ইতোমধ্যেই কিনে ফেলেছেন পছন্দের পশুও। ফলে ইট-পাথরের এই শহরে পশুখাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে সমান তালে। তাইতো হাট কিংবা শহরের অলি-গলি, সবখানেই চলছে পশুখাদ্য বিক্রির ধুম।

সোমবার (২৬ জুন) রাজধানীর গুলশান লেকপাড়ে কয়েকজনকে কাঁঠাল গাছের পাতা অত্যন্ত সুচারুরূপে আঁটি বাঁধতে দেখা যায়। কথা হলে জামাল মিয়া নামে তাদের একজন কয়েকটি কাঁঠালের ডাল গুছাতে গুছাতে বলেন, দুই মাস আগে বাড্ডার খিলবাড়ির টেক এলাকায় ৪টি কাঁঠাল গাছ কিনেছি। সেখান থেকে এই ঈদের সময় পশুখাদ্য হিসেবে শুধু পাতা বিক্রি করব।EIDকোরবানির ঈদকে ঘিরে সব পশুখাদ্য ব্যবসায়ীরাই আগে থেকে ওই এলাকায় গাছ কিনে রাখে জানিয়ে তিনি বলেন, গাছে পাতা বেশি থাকলে দাম বেশি। আর পাতা কম থাকলে দামও কম। চারটি গাছ আট হাজারে কিনে রাখছি। আফতাবনগর হাটে এসব পাতা বেচব।

পাশেই কাঁঠালের ডালগুলো আঁটি বাঁধছিলেন রফিকুল ও সুমন মিয়া। তাদের মধ্যে রফিক বলেন, প্রতি আটি ৫০ টাকা। এই ঈদের সময় ঢাকায় পশুর খাদ্য পাওয়া কঠিন হয়। গত দুই বছর ধরে ঈদের সময় আমরা কাঁঠাল পাতা বিক্রি করি। সঙ্গে কখনো ভুসিও বিক্রি করি। সবুজ কাঁঠাল পাতা মূলত ছাগলের খুবই প্রিয়। অনেক বাচ্চারা এমনকি যারা ছাগল কিনেন, তারা শখের বশে হলেও এই ডাল কিনে থাকেন।EIDরাজধানীর পশুর হাটগুলোর পাশে অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন গো-খাদ্যেরও দোকানের পসরাও সাজিয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন সাইজের পলিথিনে ভুসি ভরে বিক্রি হচ্ছে ৫০ বা ১০০ টাকায়। এছাড়াও খড় আঁটি হিসেবেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রাজধানীর উত্তরার পশুর হাটের খড় বিক্রেতা জলিল ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতি আঁটি ছোটটি ৪০ টাকা, আর বড় আঁটি ৭০ টাকা করে বিক্রি করছি। অনেক বিক্রেতা গরুর সঙ্গে খড় আনে নাই। তারাও কিনছেন, ক্রেতারাও কিনছেনে।EIDএদিকে, কোরবানির ঈদকে ঘিরে আফতাবনগর পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দোকানও দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে ফার্মগেট এলাকায়ও। ভ্যানে করে কাঁঠাল ও খড় নিয়ে ঘুরে ঘুরে গো-খাদ্য বিক্রি করতে দেখা যায় হাসানকে। সঙ্গে একজন সহযোগীও ছিল।

কথা হলে হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতি খড়ের আঁটি ১০০ টাকা, আর কাঁঠালের পাতার আঁটি ৩০ টাকা। এই কাঁঠাল পাতা বসিলা থেকে নিয়ে এসেছি।

প্রতিবছর ঈদুল আজহাকে ঘিরে রাজধানীতে পশুর হাট ও আশপাশে অনেকেই নানা ব্যবসার পসরা সাজান। গো-খাদ্যের পসরা এরমধ্যে অন্যতম। ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত এই ব্যবসা বেশ জমজমাট থাকে।

ডব্লিউএইচ/আইএইচ