জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৬ জুন ২০২৩, ১০:০৭ এএম
ঈদুল আজহার আর মাত্র তিন দিন বাকি। ইতোমধ্যে হাট ভরে গেছে পশুতে। হচ্ছে বেচাকেনাও। হাটে ওঠা নানা রঙের বাহারি পশু দেখে মুগ্ধ ক্রেতারা। এমনই একটি গরু দেখা গেছে উত্তরার বৃন্দাবন হাটে। হাটের অন্যতম আকর্ষণ এই গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘নবাব’। নবাবকে দেখে ক্রেতারা ছবি উঠাচ্ছেন, কেউ আগ্রহ নিয়ে দাম জানতে চাচ্ছেন। কুচকুচে কালা রঙের এই ষাঁড়টি এখন অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়।
বৃন্দাবন্দ হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মূল হাসিল ঘর থেকে একটু এগিয়ে উত্তরদিকের রাস্তায় সামনে গেলেই চোখে পড়ে খন্দকার এগ্রোর নামে বিশাল ব্যানার। ব্যানারে লেখা হয়েছে, হে রব আপনি সকলের কোরবানি কবুল করুন। আমিন। ব্যানারে আরও লেখা হয়েছে আমার দেশ, আমার গরু, আমার খামার। অনেকেই ব্যানারে লেখাগুলো পড়তে দেখা যায়। খন্দকার এগ্রোর জন্য নির্ধারিত জায়গায় সামনের দিকে রাখা আছে বড় আকৃতির তিনটি গরু। যার একটির নাম ‘নবাব’।
পাবনার সুজানগর ভিটাবিলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে নবাবকে। গরুর শরীরে মোটা সাদা কাপড়ে প্রিন্ট করে লেখা রয়েছে 'নবাব'। সেই সঙ্গে গরুর ওজনও লেখা রয়েছে। সেজন্য কোনো দর্শনার্থীকে গরুটির নাম জিজ্ঞেস করতে হচ্ছে না। সেই সঙ্গে গরুর কেমন মাংস হবে সেটিও ধারণা পাচ্ছেন সবাই। ৬৫০ কেজি ওজন অর্থাৎ প্রায় ১৭ মণের গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৬ লাখ টাকা।
খন্দকার এগ্রোর মালিকের ছোট ভাই ডা. সজিব ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার। আমার উৎসাহের কারণে ভাই এই খামারটি করেছেন। খামারে একটু বড় সাইজের গরুর নাম দেওয়া হয়েছে আগে থেকেই। আর ক্রেতাদের বারবার বলার দরকার নেই। তাই নামসহ গরুর পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই হাটের অন্যতম আকর্ষণ নবাব। আমরা ৬ লাখ দাম চাচ্ছি। প্রত্যাশিত মূ্ল্য পেলেই ছেড়ে দেব।
গরুটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা জানান, এই এগ্রোর গরুগুলোকে নিয়ম মেনে খৈল, ধানের ভূসি, গমের ভূসি, কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খেসারি ইত্যাদি খাওয়ানো হতো।
খন্দকার এগ্রোতে কর্মরত আসাদ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের ২৭টি গরুর মধ্যে একটি ইতোমধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আমাদের সব গরুই মাঝারি থেকে একটু বড়।
হানিফ মোল্লা নামে আরেকজন বলেন, বৃন্দাবন হাটে যেসব গরু আমরা এনেছি এবং দাম হচ্ছে এমন দাম আমাদের গ্রামেই হয়েছে। দেখি সামনের দিনগুলোতে বাজার কেমন হয়। এখনো বেশিরভাগ মানুষ দেখছেন। কিনবেন হয়তো দু'দিন পর।
ইতোমধ্যে পুরো হাট ভরে গেছে গরুতে। প্রতিদিনই শত শত ক্রেতা আসছেন। অন্যান্য বছর দিনের বেলার খুব একটা ক্রেতা থাকতো না। এবার দিনে অনেক ক্রেতা আসছেন হাটে। এতে বিক্রেতারাও বেশ খুশি। যদিও বেচাকেনা এখনো সেই অর্থে জমেনি।
ডব্লিউএইচ/এমআর