খলিলুর রহমান
২৫ জুন ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের খালি জায়গায় কোরবানির পশুর হাট ইতিমধ্যে জমে উঠেছে। ওই হাটে আসা বেশিরভাগ গরুই মাঝারি আকারের। ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম অনেক বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তের আশায় আছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এখন বিক্রি কিছুটা কম হলেও শেষ মুহূর্তে সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের এই হাটে ছোট-বড় সব ধরনের যথেষ্ট সংখ্যক গরু এসেছে। মোটাতাজা ষাঁড়ও এসেছে অনেক। তবে ক্রেতাদের কাছে মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি।
হাটে আসা ‘রাজা বাবু’ নিয়ে উৎসুক জনতার বেশ আগ্রহ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুজিবনগর থেকে ইনছান আলী নামের এক ব্যক্তি নিয়ে এসেছেন ‘রাজা বাবু’ নামের ওই গরুটি।ইনছান আলী ঢাকা মেইলকে বলেন, ২৩ জুন ‘রাজা বাবু’কে নিয়ে ঢাকায় আসি। সেদিন তার ওজন ছিল আড়াই টন।
কত বিক্রি করবেন জানতে চাইলে ইনছান বলেন, ৩৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করব। এখন পর্যন্ত ২০ টাকা দাম উঠেছে।
সিরাজগঞ্জের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম। তিনি জাহাঙ্গীর এগ্রো ফার্ম নামের একটি খামারের মালিক। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, ২১টি গরু নিয়ে শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁও হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয় নাই। তবে ক্রেতা আসছে। গরু দেখে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ দাম করছে। কিন্তু যে দাম বলছে সেই দামে বিক্রি করলে লস হবে।শেরপুর কামারচর বাজারের গরু ব্যবসায়ী আরশাদ ব্যাপারী ঢাকা মেইলকে বলেন, ১৮টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছি। একটি গরু বিক্রি করেছি। তবে এখনো ক্রেতা কিছুটা কম। আশা করছি, রোববার থেকে গরু বিক্রি বেশি হবে।
আর আর এগ্রো বিডির মালিক মো. মাসুম ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের খামার নরসিংদীর রামপুরা এলাকায়। প্রতিবারের মতো এবারও এই মাঠে গরু নিয়ে আসছি। আশা করছি, আজ (রোববার) বিকেল থেকেই হাট পুরো জমে উঠবে।মিজানুর রহমান নামের এক ক্রেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি ঈদের আগের দিন গরু কিনব। এখন গরুর বাজারের অবস্থা জানতে এই হাটে এসেছি।
ওয়াহিদুজ্জামান নামের আরেক ক্রেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রতি বছরই এই হাট থেকে গরু কিনি। তবে এবার গরুর দাম অনেক বেশি। তিনি বলেন, আমার বাজেট ছিল ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু এই হাটে ১ লাখ টাকার নিচে ভালো গরু পাওয়া যাচ্ছে না। তবে যে গরু ১ লাখ টাকার নিচে আছে সেগুলো অনেক ছোট।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের ইজারাদার মোহাম্মদ হোসেন খান ঢাকা মেইলকে বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। কেউ যাতে হয়রানি না করে সেই বিষয়ে আমরা সর্তক রয়েছি। এছাড়া আমাদের হাটে ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার হাটে ৩ হাজার গরুর জায়গা হয়। ইতিমধ্যে দুই হাজার গরু এসেছে। এছাড়া নিয়মিত গরু আসছে।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬০টি গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আজ (রোববার) থেকে গরু বিক্রি বেড়ে যাবে।
কেআর/জেএম