images

জাতীয়

কক্সবাজারে দেহ ব্যবসায় রোহিঙ্গারা, বাড়ছে ঝুঁকি

কাজী রফিক

২২ জুন ২০২৩, ১২:৪০ পিএম

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে বেশিরভাগের আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে। ক্যাম্পে অবস্থানের কথা থাকলেও অনেক রোহিঙ্গা ইচ্ছেমতো বাইরেও আসা-যাওয়া করেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা অনেক নারীকে ক্যাম্পের বাইরে কক্সবাজারে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ এসেছে। সেজন্য স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের পতিতাবৃত্তির বিষয়ে তাদের জানা নেই। তাছাড়া কক্সবাজারেও পতিতাবৃত্তির বিষয়ে তাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। দিনের বেলায় এই সৈকতে পর্যটকদের ভিড় থাকে। অন্ধকার নেমে এলে সে ভিড় কিছুটা কমে যায়। সন্ধ্যার পর সমুদ্রে অনেকেই পা ভেজান। কেউবা সাগরপাড়ে মেতে ওঠেন সুরের ধারায়। এই স্বাভাবিক চিত্রের সঙ্গে দেখা মেলে কিছু অস্বাভাবিকতার।

রাত আটটা বাজতেই সমুদ্রপাড়ের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকায় আসেন এক ঝাঁক তরুণী। তাদের মধ্যে আছেন মাঝ বয়সীরাও। তাদের পেশা পতিতাবৃত্তি। এসব নারীর মধ্যে অনেক রোহিঙ্গা নারীও রয়েছেন।

স্থানীয়দের বয়ানে উঠে এসেছে সাগরপাড়ের পতিতাবৃত্তির দৌরাত্ম। জানা গেছে, দিনভর পতিতালয়ে চলে অবৈধ কাজ। সন্ধ্যার পর কিছু পতিতা খদ্দেরের খোঁজে আসেন সাগরপাড়ে৷ সৈকতে দাঁড়িয়ে খদ্দের সংগ্রহ করেন। তাদের মূল ঠিকানা কলাতলি রোড সংলগ্ন অনেক রেস্ট হাউজ।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কক্সবাজারে দেহ ব্যবসা নতুন নয়। বিষয়টি সবারই জানা। তবে রোহিঙ্গাদের আনাগোনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে ঢল নামে রোহিঙ্গাদের। আগে থেকে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ লাখের বেশি। এতে করে উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে। এতো বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী যেখানে, সেখানে নানারকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটার শঙ্কা থেকে যায়৷ শরণার্থীরা যাতে শিবির ছেড়ে অন্যত্র যেতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে শুরু থেকে নিরাপত্তা বাহিনী নানা তৎপরতা চালায়। তবে অনেক রোহিঙ্গা নারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কারও কারও এইচআইভি সংক্রমণ রয়েছে৷

২০১৭ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, অন্তত পাঁচ হাজার এইচআইভি পজেটিভ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারে রয়েছে৷ দেহব্যবসার মাধ্যমে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা হবে ভয়ানক এক ব্যাপার৷ তাই এই বিষয়ে আরও সতর্কতা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

সরেজমিনে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় লুকিয়ে আলাপ হয় এক তরুণীর সঙ্গে। তিনি নিজের নাম বলেন রিয়া মনি। সৈকত থেকে খদ্দের নিয়ে যান পাশের একটি গেস্ট হাউজে।

ওই তরুণীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বাসা সেন্ট মার্টিনে৷ কক্সবাজারে অনার্সে পড়াশোনা করেন। খরচ চালাতে জড়িয়েছেন দেহ ব্যবসায়।

রুমু মনি, সুন্দরীসহ রাত তিনটা পর্যন্ত সুগন্ধা থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত অন্তত ৩৫ পতিতার দেখা মিলেছে। পতিতাবৃত্তির দর-কষাকষির সময় অনেককে খদ্দেরের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা গেছে রাতের সৈকতে৷ রাতভর তারা অবস্থান করেন সুগন্ধা পয়েন্ট ও এর আশপাশের এলাকায়।

তাদের কাছে রোহিঙ্গা পতিতাদের বিষয়ে জানতে চাইলে অনেকেই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই প্রতিবেদককে উল্টো প্রশ্ন করেছেন, তুমি রোহিঙ্গা খোঁজ কেন?

ঘুরতে ঘুরতে কিছুক্ষণ পর দেখা মিলল আরেক তরুণীর। নিজের নাম বলেন জরিনা। প্রথমে নিজেকে টেকনাফের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। কিছু শুদ্ধ বাংলা বলতে না পারায় সন্দেহ হলে একপর্যায়ে নিজের আসল পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা।

আলাপকালে জরিনা বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গা। কিন্তু পরিচয় দেই না। কিছুদিন আগেও অনেক রোহিঙ্গাকে মেরে বের করে দিছে।’ আরও কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর প্রয়োজনের কথা জানালে রোজিনা ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলেন।

রোজিনা জানান, এখানে আরও রোহিঙ্গা নারী আছে। নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আসার মতো বাংলা ভাষা অনেক রোহিঙ্গা নারী বলতে পারেন। বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের সীমান্তের একেবারে কাছাকাছি মিয়ানমারে বাস করেন তাদের অনেকে শুদ্ধ বাংলা বলতে পারেন৷ ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে তারা কক্সবাজারে এসে দেশ ব্যবসায় জড়ান।

পতিতাবৃত্তির সঙ্গে দারুণ এক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে প্রায় পুরো কক্সবাজারে। তার যেন প্রমাণ দিলেন সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার এক চা ব্যবসায়ী। পতিতালয়ের সন্ধান জানতে চাইলে তিনি সবকিছু ম্যানেজ করে দিতে পারবেন বলে জানান।

পরে ওই চা বিক্রেতার দেওয়া তথ্যমতে, একটি লাইট হাউজে যাওয়ার চেষ্টা। এক রিকশাচালককে বিষয়বস্তুর ইঙ্গিত দিতেই তিনি বুঝে ফেললেন। ৪০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে দিলেন লাইট হাউজে। রিকশাচালককে তার ভাড়া পরিশোধের পরেও খদ্দের নিয়ে এসেছেন, সেই সুবাদে চালককে বাড়তি ১০০ টাকা দেওয়া হলো গেস্ট হাউজের দালালদের পক্ষ থেকে। ভেতরে প্রবেশ করতেই অনেক নারীর দেখা মেলে। বাঙালি ছাড়া আদিবাসীও আছে সেখানে।

লাইট হাউজে দেখা হয় সীমা (ছদ্মনাম) নামে একজনের সঙ্গে। বাড়ি গাজীপুরে বলে জানান। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে এ কাজ করেন। আলাপে রোহিঙ্গা নারীদের পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি জানান তিনি।

সীমা জানালেন, বাঙালি, আদিবাসীসহ রোহিঙ্গা মেয়েদেরও পাওয়া যাবে কক্সবাজারে। তবে রোহিঙ্গারা প্রকাশ্যে কমই থাকে। আবার তাদের চাহিদাও বেশি।

সীমার কথার সঙ্গে সুর মেলালেন ওই হোটেলের দালাল জিহাদ৷ জানালেন, ‘বর্মাইয়া তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হবে না। একদিন সময় দিতে হবে।’

জিহাদের কথা মতো, তাকে একদিন সময় দেওয়া হয়। একদিন পর যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রোহিঙ্গা মেয়ে ব্যবস্থা হয়েছে। এক রাতের জন্য বিনিময় দিতে হবে সাত হাজার টাকা।

কক্সবাজারের পতিতাবৃত্তি আরেক দালাল আজিম। পরিচয় গোপন করে আলাপ হয় তার সঙ্গে। রোহিঙ্গা মেয়ে চাওয়ার দুইদিন পর টেলিফোনে জানান মেয়ে ব্যবস্থা হয়েছে। রোহিঙ্গা মেয়েকে দেখতে চাইলে ভিডিও কলের মাধ্যমে মেয়েকে দেখান তিনি। তখন ওই মেয়েও নিজেকে রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন।

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার আরেক চায়ের দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এইখানে কে কী করে সবাই জানে। রাত হইলে মেয়ের অভাব থাকে না। পুরো এলাকাটা নোংরা বানাইয়া ফালাইছে।’

রোহিঙ্গা পাওয়া যায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাওয়া যায়। রোহিঙ্গার চাহিদা বেশি।’ তিনি আরও জানান, রাতের কক্সবাজারের রিকশাচালক ও ইজিবাইক চালক আলাদা। দিনে যারা ইজিবাইক চালান, পৌরসভা থেকে তাদের লাইসেন্স নিতে হয়।

নাম না জানিয়ে এক ইজিবাইক চালক জানান, লাইসেন্সের পেছনে ইজিবাইক প্রতি খরচ এক লাখ ৮০ টাকার টাকা। যা আবার বছর বছর নবায়ন করতে হয়।

যেসব ইজিবাইকের লাইসেন্স নেই, তারা দিনের বেলায় ইজিবাইক বের করতে পারেন না। বের হয়ে হয় রাতে৷ আর রাতের কক্সবাজারে সবচেয়ে আয়ের পথ পতিতাবৃত্তিতে সহযোগিতা।

রাত তিনটায় সুগন্ধা পয়েন্টে অপেক্ষমাণ একজন ইজিবাইক চালক জানান, পতিতালয়ে যেতে আগ্রহী এমন খদ্দেরকে পতিতালয় পর্যন্ত পৌঁছে দিলে তারা যাত্রীর থেকে ভাড়ার পাশাপাশি পতিতালয় কর্তৃপক্ষের থেকে বাড়তি টাকা পান। খদ্দের প্রতি বরাদ্দ এক থেকে দেড় শ টাকা। তাদের যোগাযোগ আছে পতিতা ও পতিতালয়ে। নিরাপত্তা নিয়েও কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান এই ইজিবাইক চালক।

এদিকে ক্যাম্পে থাকার কথা থাকলেও রোহিঙ্গা নারীদের বাইর এসে পতিতাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফেলতি দেখছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘অন্যান্য দেশে স্পা সেন্টারগুলোতে রোহিঙ্গা নারীদের বিশেষ চাহিদা রয়েছে৷ সেই একটা প্রেক্ষাপটকে পুঁজি করে আমাদের এখানে রোহিঙ্গা নারীদের এবং তাদের যে বৈশিষ্ট্য, শারীরিক যে অবয়ব সবকিছু মিলিয়ে তার একটা প্রশাসনের নাগালের বাইরে গিয়ে বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজ করে তার এই যৌনতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে রোহিঙ্গাদের যে প্রত্যাবর্তন এবং রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপদে রাখা এই জায়গাগুলো বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে রোহিঙ্গারা কিন্তু আমাদের মূল জনগোষ্ঠী এবং মূল স্রোতের সঙ্গে মিশে যাবে। সেটা কিন্তু আমাদের জন্য আরেক ধরনের ভয়াবহতা তৈরি করবে।’

ঢাবির এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সরকার যতই পর্যটন নীতি অথবা পর্যটন বছর, প্রতিপাদ্য ঘোষণা করুক না কেন এই পরিবেশ-পরিস্থিতি যদি পরিবর্তন করতে না পারে, তাহলে আমাদের এখান থেকে খুব একটা বেশি পরিত্রাণ মিলবে না।’

তৌহিদুল হক বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই বিষয়গুলোতে জানে না, সেটা আমি বিশ্বাস করতে চাই না। আমি যেটা বিশ্বাস করতে চাই, সেটা হচ্ছে- তাদেরকে ম্যানেজ করে, কোনো না কোনোভাবে একটা পক্ষ, এটা অসৎ পক্ষ এই কাজ করে। তারা অর্থের লোভে পড়ে বা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই করছে।’ এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজারে পতিতাবৃত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘কক্সবাজারের কোনো বাসিন্দা, কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো রিপোর্ট দেয় নাই যে এখানে পতিতাবৃত্তি হচ্ছে। পতিতাবৃত্তি থেকে আমরা বাঁচতে চাই। আইন অনুযায়ী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কক্সবাজার জেলা পুলিশ তার কাজ করে থাকে। আপনি যে কথা বললেন পতিতাবৃত্তির কথা, পতিতাবৃত্তি বাংলাদেশের আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। যেকোনো দণ্ডনীয় অপরাধ পুলিশ প্রতিরোধ করবে। কেউ অভিযোগ করলে, তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দেবে। নির্দিষ্টভাবে যদি কোনো অপরাধ হয় সে ক্ষেত্রে অপরাধ ঘটার আগেই পুলিশ প্রতিরোধ করবে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘অপরাধীর কাজ পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্নভাবে অপরাধ তৈরি করা, অপরাধ সৃষ্টি করা, অপরাধ সংগঠিত করা এবং এ ক্ষেত্রে এরকম যে হচ্ছে না আমি সেটা হলফ করে বলতে পারি না। আমাদের ইন্টেলিজেন্স আছে, আমরা গোয়েন্দা তথ্য অনুসন্ধান করে থাকি এবং এই ধরনের বিষয়টা ঘটার আগেই আমরা প্রতিরোধ করি। আমি এতটুকু বলতে পারি কক্সবাজার পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পতিতাবৃত্তি এবং দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’

রোহিঙ্গা নারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, 'যদি এই ধরনের কোনো কিছু থেকে থাকে এখানে জেলা পুলিশ আছে, ট্যুরিস্ট পুলিশ আছে, আমরা যদি রোহিঙ্গা দেখতে পাই বা জানতে পারি যে রোহিঙ্গা তাকে ক্যাম্পে ফেরত দেওয়ার আইনগতভাবে পদক্ষেপগুলো নিয়ে থাকি। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কন্টিনিউয়াস আমাদের অভিযান চলছে। যেখানে যে অবস্থায় আমরা তাদের সম্পর্কে জানতে পারি আমরা যাচ্ছি এবং ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ এবং টুরিস্ট পুলিশ সতর্ক আছে।'

কারই/এমআর