images

লাইফস্টাইল

জাম খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১১ জুন ২০২৩, ০১:৩৫ পিএম

গ্রীষ্মের অন্যতম ফল জাম। দেখতে ছোট এই ফলটি খেতে বেশ সুস্বাদু। জামের কিন্তু অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই ফলের উপকারিতা বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা। জাম খেলে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। কেন খাবেন এই ফল? চলুন জেনে নিই- 

হজমে সাহায্য করে

হজমের সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করে জাম। এতে রয়েছে উচ্চ ফাইবার ও পানি। ফলে এটি হজমের উন্নতি এবং অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। জাম পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। তবে ফলটি অম্লীয় প্রকৃতির হওয়ার কারণে কারও কারও ক্ষেত্রে পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে।

jam

মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি

জাম খেলে মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়। এটি মাড়ির প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। জামের রস অনেকটা মাউথওয়াশের মতো কাজ করে। জামের পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। তাই এটি মুখের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

জামে রয়েছে ভিটামিন সি। এছাড়াও ফলটির প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এটি হাঁপানি, ফ্লু বা এ ধরনের সমস্যা কমায়। 

jam

রক্ত বিশুদ্ধিকরণ 

জাম রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এটি আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। জামে থাকা ভিটামিন সি ও আয়রন রক্তকে বিশুদ্ধ করতে এবং টক্সিন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এছাড়া জাম পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এই উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। 

ওজন কমানো

জামে ফাইবারের পরিমাণ বেশি আর ক্যালোরির পরিমাণ কম। এটি তৃপ্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ওজন রাখে নিয়ন্ত্রণে। জাম মুখরোচক কিন্তু স্বাস্থ্যকর যা ক্ষুধা নিবারণ করে এবং ক্ষুধা কমিয়ে রাখে।

jam

ত্বক কোমল করা 

জামে আছে ভিটামিন এ, বি এবং সি। এর পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জাম খাওয়ার ফলে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও কোমল। তাই তারুণ্যের উজ্জ্বলতা চাইলে বেশি করে জাম খান। 

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা যেমন বারবার প্রস্রাব এবং গলা শুকিয়ে আসার মতো ডায়াবেটিস মোকাবিলা করতে সাহায্য করে জাম। জামের কম গ্লাইসেমিক সূচক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়।

এনএম