লাইফস্টাইল ডেস্ক
০১ জুন ২০২৩, ০২:৫৯ পিএম
কথায় বলে প্রেমের বয়স বলতে কিছু নেই। প্রেম মানে না বয়স-ধর্ম-বর্ণ। কেউ অসম বয়সীর সঙ্গে প্রেমে জড়ান। দুজনের বোঝাপোড়া ভালো হলে সম্পর্ক বিয়ে অব্দিও গড়ায়। প্রেমের ক্ষেত্রে বয়সের অত গুরুত্ব না থাকলেও বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সকে ‘ফ্যাক্টর’ মনে করা হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর থেকে তার স্ত্রী ২৫ বছরের বড়। আবার নিক জোনাসের চেয়ে বড় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সাইফ আলি খান এবং কারিনা কাপুরের বয়সের পার্থক্য ১০ বছর। আবার রণবীর কাপুর আর আলিয়া ভাটের বয়সেও রয়েছে বড় ফারাক।
কেউ সমবয়সীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে জড়ান। আবার কারো বয়সের পার্থক্য থাকে অনেক বছরের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত? কত বছরের পার্থক্য থাকলে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেল এই প্রশ্নের উত্তর।
৩০০০ জনকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এই গবেষণায় ৫ থেকে ৭ বছরের পার্থক্য, ১০ বছরের পার্থক্য এবং সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বয়সের পার্থক্য ৫ থেকে ৭ বছর
অনেক বিয়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মাঝে বয়সের পার্থক্য ৫ থেকে ৭ বছর দেখা যায়। গবেষণা বলছে, বয়সের এই পার্থক্য থাকলে বিচ্ছেদের হার ১৮ শতাংশ।
বয়সের পার্থক্য ১০ বছর
বর্তমানে ১০ বছর বয়সের পার্থক্য প্রায় নেই বললেই চলে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলে সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ। কারণ বয়সের ফারাক বেশি হলে মতের অমিলও বেশি ধরা পড়ে। তাতেই দাম্পত্যে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
২০ বছরের পার্থক্য
গবেষণায় বিয়ের ক্ষেত্রে এই বয়সের পার্থক্যকে সবচেয়ে খারাপ ধরা হয়েছে। বয়সের পার্থক্য ২০ হলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। এমনটাই বলছে গবেষণা।
বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত?
গবেষণা বলছে, প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য হাওয়া উচিত ১ থেকে ৩ বছর। তাহলে সম্পর্ক বেশিদিন টেকে। এক্ষেত্রে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা আশঙ্কা থাকে ৩ শতাংশ। সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে সমবয়সীদের প্রেমেই।
তবে কেবল এই গবেষণা দিয়েই সব সম্পর্ক বিচার করা যাবে না। বিয়ের ক্ষেত্রে দুজনের বোঝাপড়া, মানিয়ে চলার প্রবণতা আর একসঙ্গে থাকার ইচ্ছেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ঠিক থাকলে অসম বয়সের পার্থক্যেও সুখী দাম্পত্য জীবন কাটানো সম্ভব।
এনএম