লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ মে ২০২৩, ০৪:৩২ পিএম
আর কিছুদিন পরই শুরু হবে বর্ষকাল। বৃষ্টি বাড়ায় তখন বেশিরভাগ নিচু ভূমি পানিতে তলিয়ে যায়। এসময় সাপের উপদ্রব বাড়ে। এই জীবটিকে নিয়ে মানুষের নানা জল্পনা-কল্পনা থাকে। সঠিকভাবে না জানার কারণে প্রতিবছর সাপের কামড়ে প্রাণ হারান অনেকে। এ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি-
অনেকে মনে করেন- সাপকে আঘাত করলে কিংবা অগোচরে সাপ হালকা আঘাত পেলে, সেই সাপ ব্যক্তিকে চিনে রাখবে এবং রাতে ওই সাপটি আঘাতকারী লোকের বাড়ি গিয়ে দংশন করবে। এই ধারণা একদমই ঠিক নয়। মূলত, সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। তার পক্ষে আঘাতকারীকে খুঁজে দংশন করা সম্ভব নয়।

কোথায়ও সাপ দেখলে ভয় পাবেন না। বরং সরে গিয়ে তাকে যাওয়ার পথ করে দিন। কোনো সমস্যা হবে না।
ঘরে সাপ থাকার সম্ভাবনা থাকলে বিশেষ করে ঘরে যদি ইঁদুরের গর্ত থাকে তবে শুকনা মরিচ আগুনে পোড়া দিন। এই ঘ্রাণে সাপ চলে যাবে। তাছাড়া বাজারে কার্বলিক এসিড আছে। এই এসিড বাড়িতে এনে বোতলসহ ঘরের উঁচু স্থানে রাখুন। ঘরে সাপ আসবে না।

কাউকে সাপে দংশন করলে ওঝা বা বুদ্ধের কাছে যাবেন না। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান। সাপের এন্টিভ্যানম ইনজেকশন সময়মতো দিলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
দংশিত ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সাহস দেয়া। তাকে সাহস দিন। সাপে দংশন করার পর ৭/৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রোগী বেঁচে থাকে। তাই ধৈর্য ধারণ করে যত দ্রুত সম্ভব ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশের বিষাক্ত প্রায় সব সাপের বিষ নষ্ট করার ইনজেকশন আবিষ্কার হয়েছে। কেবল রাসেল ভাইপার বা শঙ্খচূড় সাপের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। আর এই সাপ বাংলাদেশের রাজশাহী ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না।
সাপের ব্যাপারে আগেই সচেতন হোন। তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।