লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
বিড়াল, কুকুর, পাখি, খরগোশ ইত্যাদির প্রতি অনেকেরই রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। তাই যত্ন করে এদের বাড়িতে পুষে থাকেন। অনেক পোষা প্রাণীর জায়গা হয় বেডরুমেও, ঘুমায় মালিকের সঙ্গেই। হয়ে ওঠে পরিবারের একজন। কিন্তু এসব প্রিয় প্রাণী নিয়ে ‘বিড়ম্বনায়’ পড়তে হয় যখন ছুটিতে শহর ছেড়ে গ্রামে যেতে হয়।
ঈদুল ফিতরের ছুটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তাই ছুটি কাটাতে বাড়ির পথ ছুটেন অনেকেই। এসময় নিজের প্রিয় পোষা প্রাণীটিও সঙ্গে নিতে চান অনেকেই। কিন্তু এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। কীভাবে নিয়ে যাবেন বা কোথায় রেখে যাবেন এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই। চলুন জেনে নিই এই সমস্যা এড়াতে কী করবেন।
পোষা প্রাণীটি সঙ্গে নিতে পারেন
নিজের প্রিয় পোষা প্রাণীটিকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রাণীটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যাগ অনলাইনসহ বিভিন্ন মার্কেটেও পাওয়া যায়। তবে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে তার দেখাশোনা করার সুযোগ থাকবে কি না, সেটিও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় প্রাণীটি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
পোষা প্রাণীটি সঙ্গে নিতে না পারলে যা করবেন
পোষা প্রাণীটি যদি কুকুর বা বিড়াল হয় তাহলে তাদেরকে আলাদা প্যাকেটজাত খাবারে অভ্যস্ত করে তুলুন। প্যাকেটজাত খাবারগুলো শুকনা থাকে। এতে করে তা পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে খাবার ডাস্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে চাইলে একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে। বোতল কেটে এবং সেটাতে পুশিং সিস্টেম করে অনেক খাবার একসঙ্গে দিলেও তা ডাস্ট হয়ে যায় না।
পাখির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। তবে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের জন্য নলের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে পোষা প্রাণীর একটু প্রশিক্ষণের দরকার আছে। এজন্য অবশ্য একদিন সময় যথেষ্ট। আপনার পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে রেখে দিন। দেখবেন পোষা প্রাণীটি ঠিকই আবিষ্কার করে ফেলবে যে কিভাবে খাবার এবং পানীয় পাওয়া যাবে।
এছাড়া এক ধরনের মেশিন রয়েছে, যা পোষা প্রাণীর স্পর্শ ডিটেক্ট করতে পারে। আর এর মাধ্যমে মেশিনটি স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে তা খাবার দিতে থাকে। এর সুবিধা হলো প্রাণীটি ক্ষুধার্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেশিনটি স্পর্শ করলেই খাবার পেয়ে যাবে।
পোষা প্রাণীর আবাসিক হোটেল
পোষা প্রাণীটি সঙ্গে নিতে না পারলে পরিচিত আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে রেখে যেতে পারেন। অথবা পেশাদার কারও কাছেও রাখতে পারেন। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া পোষা প্রাণীর দিনযাপন বেশ কঠিন। এই সমস্যা এড়াতে রাজধানীতে চালু হয়েছে পোষা প্রাণীর আবাসিক হোটেল ‘ফারিঘর’। এখানে আপনার পোষ্য থাকবে নিরাপদ। দেশের প্রথম বিশেষায়িত এই হোটেলে যে কেউ তাদের পোষা বিড়াল বা কুকুর রাখতে পারবেন। উন্নত পরিবেশে ফারিঘরে কুকুর-বিড়ালের আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন উদ্যোক্তারা। থাকার পাশাপাশি পোষা প্রাণীর জন্য মিউজিক ও বিনোদনের ব্যবস্থাও আছে। তবে এজন্য খরচ পড়বে প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় শুধু বিড়ালের জন্য ফস্টার হোম পরিচালনা করেন এন্তিনা চাকমা। ফেসবুকে তাঁর আইডিতে যোগাযোগ করে তাঁর কাছেও বিড়াল রেখে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বেইলি রোড ও পুরান ঢাকায় পোষ্যকে কয়েকদিন রাখার জন্য আছে বোর্ডিং। ফেসবুকেও বেশ কয়েকটি গ্রুপ আছে, সেখানে যুক্ত থাকলেও প্রাণীর নানা সমস্যার সমাধান পাবেন।
পোষা প্রাণী আপনাকে ছাড়া কেমন থাকবে, সেই বিবেচনায় সঙ্গে নিয়ে যান। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পোষা প্রাণীটিকে যেখানেই রাখবেন সেখানকার সেবা, পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিকতা অবশ্যই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
এমএইচটি