images

লাইফস্টাইল

ইসবগুলের ভুষি খাওয়ার কতক্ষণ আগে ভেজাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২৪ মার্চ ২০২৩, ১০:২২ এএম

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসুবগুলের ভুসির জুড়ি মেলা ভার। ইফতারে স্বাস্থ্যকর এই শস্য বীজ শরবত বানিয়ে খাওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত আছে, এই ভুসি দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে বেশি উপকার মেলে। কিন্তু এখনকার পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, খাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইসবগুলের ভুষি পানিতে মিশিয়ে পান করা উচিত। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখা ভুসি উপকারের বদলে ক্ষতিই করে বেশি। জানুন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম। 

ইসবগুলের ভুসি কী

ইসবগুলের ভুসি  হল এক প্রকার দ্রবণীয় ফাইবার যা সাইলিয়াম (প্ল্যান্টাগো ওভাটা) বীজের খোসা থেকে পাওয়া যায়।  রেচক বা ল্যাক্সেটিভ (laxative) হিসেবে  পরিচিত। ইসবগুলের ভুসি আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ, হার্ট বা হৃদপিন্ড এবং অগ্নাশয় (Pancreas) সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।

isubgulইসবগুলের ভুষির উপকারিতা

পেট ব্যথা দূরীকরণে ইসবগুলের ভূমিকা অনন্য। এর মিউসিলেজিনাসের কারণে আলসারজনিত পেট ব্যথা কম অনুভূত হয়।

ইসবগুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে দুই বা তিন চামচ ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি মেলে।

আশসমৃদ্ধ খাবার ইসবগুল। আমাশয় কিংবা অর্শ রোগ দূর করতে ইসবগুল দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।

হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুল বিশেষ উপকারী।

isubgulকোলেস্টেরল ও উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন কমাতে ইসবগুল দারুণ পথ্য।

ইসবগুলের ভুসিতে আছে জিলাটিন নামক একটি উপাদান। যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাক্সগার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। এতে রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস।

এই ভুসিতে ফাইবার উপস্থিতি থাকায় হজম প্রক্রিয়া ধীরগতিতে হয়। এতে ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন কমে।   

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম 

ইসবগুল অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির সঙ্গে খেতে হবে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভুসি মিশিয়ে পানি করুন। 

isubgulপানি বা শরবতের সঙ্গে ভালোভাবে নেড়ে ভুসি মিশিয়ে নিন। 

মেশানোর সঙ্গে সঙ্গেই খেতে হবে।

মনে রাখবেন, আপনি যদি ইসবগুল মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে না পান করে ভিজিয়ে রাখেন তবে তা ফুলে মোটা ও ঘন হয়ে যায়। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যায়।

এজেড