লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০২ এএম
ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় বৃত্তির টাকা দিয়ে কেনা আমার জীবনের ১ম গল্পের বই হলো- ভূত ভূতং ভূতৌ। বাসার নিচে এক দোকানে রেখে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পড়ে শেষ করেছিলাম এই বই।
তখন নিপ্পন সাদাকালো টিভিতে হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখতে বসতাম বাসার সবাই মিলে। আর হিমু, শুভ্র, মিসির আলী চরিত্রের মাঝে মিশে যেতাম বই পড়তে পড়তে।
এভাবেই হুমায়ূন আহমেদ বইবিমুখ আমার বইয়ের প্রতি ভালবাসা তৈরি করে দিয়েছিল সেই বয়সে। তারপর একে একে শরৎচন্দ্র, মুজতবা আলী, লুতফর রহমান, তিন গোয়েন্দা, দস্যু বনহুর আর মাসুদ রানার মধ্যে খুঁজতাম নিজেকে।

হুমায়ূন স্যারের বইয়ের গল্পে খুব সাদামাটা দৈনন্দিন জীবনের প্রাত্যহিক বিবরণ থাকত, গুরুগম্ভীর কোনো থিম বা ম্যাসেজ কেউ খুঁজে পাবে না।
তারপরও উনার গল্পে মধ্যবিত্ত জীবনের নায়ক হিমুকে নিজের সাথে তুলনা করে কত যে খালি পায়ে হলুদ পাঞ্জাবি পরে চান্নিপসর রাত্রিতে রাস্তায় রাস্তায় হেঁটেছি, তার কোনো হিসাব নেই।

এমনকি উনার মৃত্যুর পরে প্রতি বছরের মত এবারও ১৩ নভেম্বর, ২০২২ উনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কার্জন হল থেকে খালি পায়ে হেঁটে হেঁটে আমাদের হিমু পরিবহণ এর হিমু-রুপার একটি দল নুহাশ পল্লী পর্যন্ত যাব ক্যানসার সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করতে করতে।
>> আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
আমরা সবাই জানি- স্যার জীবনের শেষ মুহূর্তে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবার প্রাক্কালে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্যান্সার হাসপাতালের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই সেই স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর উনার জন্মদিনে মানুষকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতন করতে রাস্তায় নেমে আসে উনার গল্পের সব চরিত্র- হিমু, রুপা, শুভ্র, মিসির আলী আর মাজেদা খালারা।
লেখক: হিমু পরিবহনের সদস্য ও রক্তযোদ্ধা
এনএম