লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৮ মার্চ ২০২২, ১১:১৪ এএম
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বাঙলার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতায় এভাবেই নারীর মহিমা ফুটে উঠেছে।
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশীদারিত্ব এবং সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন হচ্ছে।
এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’।
নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নারী দিবস পালন করে আসছে। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি পালন করছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে।
বিশ্বব্যাপী নারীদের প্রতি হওয়া বৈষম্য, নির্যাতন ও অন্যায়ের প্রতিবাদ, তাঁদের কাজের প্রশংসা এবং তাঁদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
একজন নারীর সৌন্দর্য শুধুমাত্র তার চামড়া আর সাজসজ্জার মধ্যে নয়, আসল নারীর সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে তার কর্মস্পৃহা, তার দৃষ্টিভঙ্গি আর তার কর্মের মধ্যে।
একবিংশ শতাব্দীর নারীরা এ ব্যাপারে আরও সচেতন।
যুগে যুগে পুরুষের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে নারী। পুরুষের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করেছে কাজ। ঘরে-বাইরে দু জায়গায়ই নারী সমানভাবে অংশীদারিত্বের ছাপ রাখছে। স্বামী, সংসার দেখভাল করে পরিবারের আয়ের অন্যতম উৎসও এখন নারী।
নারী আজ স্বয়ংসিদ্ধা। তারা এখন কারও উপরে নির্ভরশীল নয়। উল্টে তাদের উপরই দাঁড়িয়ে আছে পরিবার। আবার কখনও তাদের উপরেই নির্ভর করছে কোনও দেশের ভাগ্য বা কোম্পানির ভবিষ্যৎ।
এজেড