লাইফস্টাইল ডেস্ক
২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৩৬ পিএম
কথায় বলে, কষ্টিপাথর দিয়ে খাঁটি সোনা চেনা যায়। এই পাথরে সোনা ঘষে সোনার সত্যতা যাচাই করেন স্বর্ণকাররা। কিন্তু সবার কাছে তো আর কষ্টিপাথর থাকে না। তাহলে উপায়?
সোনা প্রধানত মাপা হয় ক্যারেটে। বিশুদ্ধতার ওপর নির্ভর করে এটি ১০কে, ১৪কে, ১৮কে, ২২কে, ২৪কে হতে পারে। সবচেয়ে মূল্যবান ধাতুর মধ্যে এটি একটি। কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে উপায়ে খাঁটি সোনা চেনা সম্ভব। চলুন এমন কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক-
হলমার্ক দেখুন
খাঁটি সোনা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো হলমার্ক। গয়না কেনার সময় এতে থাকা হলমার্ক চিহ্ন দেখে নিন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গয়নার ভেতরের দিকে এই চিহ্ন দেওয়া থাকে। সাধারণত ক্যারেট অনুযায়ী ২৪, ২২, ১৮, ১৪ বা ১০ এই নম্বরগুলি লেখা থাকে। নম্বর যত বেশি থাকবে, সোনার গুণগত মান তত ভালো হবে। এক্ষেত্রে ২২ ও ২৪ ক্যারেটের সোনা সবচেয়ে ভালো।
নাইট্রিক অ্যাসিডের ব্যাবহার
সাধারণত নাইট্রিক অ্যাসিড সোনার সঙ্গে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া করে না। কিন্তু এটি অন্য ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে। সোনার কয়েন থেকে সামান্য একটু অংশ ঘষে সংগ্রহ করে নিন। ড্রপারের সাহায্যে এতে ফোঁটায় ফোঁটায় নাইট্রিক অ্যাসিড ফেলুন। রঙ যদি পরিবর্তন না হয় তবে বুঝবেন আপনার কেনা স্বর্ণ খাঁটি। কিন্তু ধাতুর রঙ বদলে যদি সবুজাভ আস্তরণ পড়ে তবে বুঝবেন এটি খাঁটি সোনা নয়। এর সঙ্গে তামা বা ব্রোঞ্জ মেশানো আছে।
পানি দিয়ে পরীক্ষা
একটি বড় বাটি বা গভীর পাত্রে দুই গ্লাস পরিমাণ পানি নিন। এতে স্বর্ণের গয়না ফেলে দেখুন। যদি গয়নাটি ভাসে তবে বুঝবেন এটি নকল সোনা। খাঁটি সোনা দ্রুত পানিতে ডুবে যায়।
চুম্বকের সাহায্যে
সোনার গয়নার অন্য কোনো ধাতু মেশানো আছে কি না তা বোঝার আরেকটি সহজ উপায় হলো চুম্বকের সাহায্যে পরীক্ষা করা। ভালোমানের শক্তিশালী চুম্বক সোনার গয়না বা কয়েন বা বাটের কাছাকাছি নিন। যদি দেখেন সোনা চুম্বকের সঙ্গে আটকে যাচ্ছে না তবে বুঝবেন সোনা খাঁটি। কারণ চুম্বক সোনাকে আকৃষ্ট করে না।
চিনামাটির প্লেট
একটি চিনামাটি বা সিরামিকের প্লেট নিন। এর ওপর সোনার বাট, কয়েন বা গয়না যেটাই কিনে থাকুন, সেটি ধীরে ধীরে ঘষুন। যদি দেখেন প্লেটের উপর কালচে দাগ পড়ছে তাহলে বুঝবেন সোনা কিনে ঠকেছেন আপনি। এতে খাঁদ মেশানো রয়েছে। খাঁটি সোনা হলে চিনামাটির প্লেটে কোনো দাগ পড়বে না।
খাঁটি সোনার গয়না চিনতে এখন থেকে এই উপায়গুলো কাজে লাগান।
এনএম