নিশীতা মিতু
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৩২ এএম
জীবন এগিয়ে চলে জীবনের নিয়মে। আমরা তাকে সুন্দর করতে নানা ছক কষি। হিসাব মিলাই কী গ্রহণ করলে আর কী বাদ দিলে জীবন হবে সুন্দর। সাধারণত মানুষের ভাবনা হয় দুই রকমের। ইতিবাচক আর নেতিবাচক। সবকিছু থাকার পরও কী যেন নেই, কেন নেই— এমন ভাবনাগুলো নেতিবাচক। যা মানুষকে কেবল পিছিয়েই দেয়।
অন্য দিকে, নিজের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট কীভাবে থাকা যায়, অন্যের উপকার কীভাবে করা যায়, কীভাবে সুখী হওয়া যায়— সেই বিদ্যা শেখানোর কাজ করে ইতিবাচক ভাবনা। যা জীবনে পরিপূর্ণতা নিয়ে আসে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ইতিবাচক ভাবনার দিন। ইংরেজিতে ‘পজিটিভ থিংকিং ডে’ বলা হয় যাকে। আমাদের দেশে দিবসটি পালন না হলেও পৃথিবীর কিছু দেশে এটি পালিত হয়। ইতিবাচক ভাবনা বা চিন্তা ভালো প্রভাব সবার মাঝে তুলে ধরতেই দিনটি পালন করা হয়।

মনে হতাশার চাষ করা বেশ সহজ। হতাশা মানুষকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়। অত্যধিক নেতিবাচকতা আমাদের মানসিক সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণা বলে, একজন সুখী ও আশাবাদী ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় বেশি আয়ু পেয়ে থাকেন। তাই, এই দিনটিতে নিজেকে তৈরি করুন ভালো ভাবনার জন্য। যা আপনার জীবনে এনে দিবে সফলতা।
ইতিবাচক ভাবনা দিবসের ইতিহাস
২০০৩ সালে সর্বপ্রথম ইতিবাচক ভাবনা দিবস পালিত হয়। একজন আমেরিকান উদ্যোক্তা ইতিবাচকতা এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনার জন্য একটি দিন উৎসর্গ করার ধারণা নিয়ে এসেছিলেন। সর্বদা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করাই এই দিনের একমাত্র লক্ষ্য।

ইতিবাচক ভাবনা একজন মানুষের জীবনে নতুন মোড় নিয়ে আসে। বদলে দিতে পারে একটি সমাজ ব্যবস্থা কিংবা প্রচলিত ভুল ধারণা। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও এটি বেশ জরুরি। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং স্ট্রেস, উদ্বেগ দূর করার ক্ষমতা রাখে ইতিবাচক ভাবনা।
সুন্দর এই দিবসটি চাইলে পালন করতে পারেন আপনি। প্রার্থনায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান। নিজেকে ও অন্যকে নিয়ে ভালো কিছু ভাবুন। অন্যের দোষ ত্রুটি খোঁজার মধ্যে কোনো মহত্ত্ব নেই। তার চেয়ে বরং ভালো দিকটি খুঁজুন। কীভাবে চারপাশের মানুষকে সাহায্য করা যায়, সমাজকে সুন্দর কিছু উপহার দেওয়া যায় সেই ভাবনা করুন। আপনার জীবনও হবে সুন্দর।

হতাশা মানুষকে দেয় ব্যর্থতা আর ইতিবাচক ভাবনা দেখায় আলোর দিশা। তাই নেগেটিভ বা নেতিবাচক ভাবনা বাদ দিন। নিজের জীবন পার করুন সুন্দর আর ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে।
এনএম