নিশীতা মিতু
১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪০ এএম
শান্তিনিকেতন—যে নামটির সঙ্গেই জড়িয়ে আছে শান্তি শব্দটি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র এটি। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
এরপর ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। রবীন্দ্রপ্রেমীদের জন্য অন্যতম প্রিয় একটি স্থান এটি। প্রকৃতির মাঝে পাঠদান কিংবা আনন্দ উপভোগ করাই যেন এখানকার স্বাভাবিক দৃশ্য।
শান্তিনিকেতনের অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা রঙা ফুল। পথিক, শিক্ষার্থী বা দর্শনার্থীদের তারা আমন্ত্রণ জানায় নিজের রূপ পুরোটা মেলে ধরে। আলোকচিত্রী ‘প্রসেনজিৎ মাহাত’ ক্যামেরায় বন্দি করেছেন এমনই কিছু ফুলের ছবি। চলুন সেই ছবিগুলোতে চোখ রাখি আর হারিয়ে যাই শান্তিনিকেতনের প্রকৃতির মাঝে।
ছবি ১: ফুলের নাম কনকচূড়া। কেউ কেউ রাধাচূড়াও বলে থাকে। ঘন পাতার আড়ালে মাথা উঁচু করে আকাশ পানে তাকিয়ে আছে ফুলগুলো।
ছবি ২: এ যেন শিল্পীর ক্যানভাস কিংবা ভাস্কর্য। দাপট নিয়ে ডালপালা মেলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সোনালু। অমলতাস, সোনাইল, সোঁদাল, বাঁদরলাঠি, অলানু, কর্ণিকা ইত্যাদি নামেও পরিচিত ফুলটি। শান্তিনিকেতনের নানা পথে দেখা মিলবে এদের।
ছবি ৩: আমাদের পরিচিত কৃষ্ণচূড়া। শান্তিনিকেতনের ফুলের দলে আছে এই ফুলটিও। সবুজের মাঝে লাল রঙা ফুলের উঁকি দেখতে লাগে দারুণ।
ছবি ৪: ভিনদেশী ফুল ক্যাসিয়া জাভানিকাও আছে শান্তিনিকেতনে। সেখানে অবশ্য লাল সোনাইল নামেই বেশি পরিচিত এটি। কেউবা পিংক শাওয়ার নামেও চেনেন।
ছবি ৫: একেক সময় একেক ফুল রাজত্ব চালায় শান্তিনিকেতনে। পথ চলতে গিয়ে কখনো মুগ্ধ হবেন হলুদ সোনালুতে। আবার কখনোবা মন কাড়বে লাল কৃষ্ণচূড়া।
ছবি ৬: পথের পাশে পাবেন জারুলের দেখা। শুনলে অবাক হবেন, ফুলটি ‘প্রাইড অব ইন্ডিয়া’ নামেও পরিচিত।
ছবি ৭: সোনালুর এমন হলুদ চাদর অভ্যর্থনা জানাবে আপনাকে।
ছবি ৮: পায়ের পাশেই হয়তো দেখা মিলবে কাঠগোলাপের। বিমোহিত হবেন তার ঘ্রাণে। কখনো তরুণীরা ফুল তুলে গুঁজে নেন খোঁপায়।
ছবি ৯: বাগানবিলাসের এমন দৃশ্য দেখাও বোধহয় চোখের শান্তি।
ছবি ১০: পথ চলতে চলতে হয়তো থমকে দাঁড়াবেন। গাছ ভর্তি হলুদ ফুলের মেলা। এই ফুলের নামটিও সুন্দর। বাসন্তিকা বলে পরিচিত এটি।
এখানেই শেষ নয়। শান্তিনিকেতনের ফুলের দলে আরও আছে রঙ্গন, অশোক, ছাতিমসহ নাম অজানা অনেকে। আপনি যদি একজন ফুলপ্রেমী হয়ে থাকেন তবে শান্তিনিকেতন হবে আপনার জন্য ভ্রমণের আদর্শ স্থান।