লাইফস্টাইল ডেস্ক
১৪ আগস্ট ২০২২, ১১:০৪ এএম
প্রতিনিয়ত বাড়ছে হৃদরোগ সংক্রান্ত ব্যধির পরিমাণ। অল্পবয়সী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা যায়। অনেকসময় অফিস বা কাজের জায়গায় অনেকেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করতে শোনা যায়। বিষয়টি বুঝে উঠতে দেরি করায় রোগীর প্রাণসংশয়ও হতে পারে।
একটু সচেতন থাকলে কিংবা এই সময়ে ছোট্ট একটি কাজ করে রোগীকে সাহায্য করা যায়। এমনকি এই কাজের কারণে হার্ট অ্যাটাক করা রোগী প্রাণেও বাঁচতে পারেন।
হার্ট অ্যাটাক বোঝা যাবে কী করে?
এই রোগটির বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ প্রচণ্ড ঘামতে শুরু করেন। তার শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর হঠাৎ ছেড়ে দিতে পারে। এমনটা হলে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া বা জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। চোখে অন্ধকার দেখার মতো অভিজ্ঞতা হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে অসহ্য যন্ত্রণা হয়ে থাকে। বুকের মাঝখান, কোনও একপাশে, ঘাড়ে, পিঠে যন্ত্রণা হয়। অনেকসময় হাত বা কাঁধে বা চোয়ালে আচমকা প্রবল যন্ত্রণাও হয়।
কী করনীয়?
যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীকে কোথাও হেলান দিয়ে বসিয়ে রাখতে হবে বা শুইয়ে দিতে হবে। রোগীর জ্ঞান থাকলে তার কাছে যেটা সবচেয়ে সুবিধেজনক সেভাবেই রাখতে হবে।
জীবন বাঁচাতে ‘সিপিআর’
সিপিআর বা cardiopulmonary resuscitation। ছোট্ট এই কাজটি ঠিকমতো করতে পারলে অনেকক্ষেত্রে রোগীর প্রাণসংশয় কমে যায় বলে জানিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কীভাবে এই কাজটি করবেন?
ধাপ ১- প্রথমে রোগীকে সোজা করে শুইয়ে দিন। রোগীর পালস, শ্বাসপ্রক্রিয়া পরীক্ষা করুন।
ধাপ ২- এবার আপনার দুটি হাতের আঙুল একে অপরের সঙ্গে লক করে এমনভাবে রাখুন যেন একটি হাতের ওপর অন্যটি থাকে, হাতের নিচের দিকে তালু থাকে।
ধাপ ৩- দুটি হাত দিয়ে একসঙ্গে পাজরের ঠিক নিচে বুকের মাঝবরাবর সেকেন্ডে ২ বার করে পাম্প করার মতো করে জোরে চাপ দিতে হবে। যিনি কাজটি করবেন তিনি কনুই সোজা রাখবেন। কোনোভাবেই ভাঁজ করবেন না।
ধাপ ৪- প্রয়োজনে রোগীর মুখ খুলে শ্বাস (mouth to mouth) দিতে হবে।
চিকিৎসকের কাছে না যাওয়া পর্যন্ত সিপিআর প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে পারেন। এর মাধ্যমে হৃদযন্ত্র কাজ না করলেও শরীরে রক্ত সংবহন মোটামুটি চালু রাখা যায়।
এনএম