লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৪৬ পিএম
কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। এই জাতির প্রধান খাদ্য ভাত। তাই ‘ভেতো বাঙালি’ টিপ্পনিও সইতে হয়। বাংলার ঘরে ঘরে রোজ তিন বেলা ভাত খাওয়ার চল। শহরে কেউ কেউ দুই বেলা ভাত খান। এক বেলা রুটি। কেউবা ডায়েটে জন্য কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে আহারে ভাত কাটছাট করেন। কিন্তু তারপরও ভাত খাওয়া যেনো চাই-ই চাই!
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, দিনে একবার ভাত খাওয়া কোনও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। কিন্তু তিন বেলা ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।
ভাতে কী আছে কী নেই?
ভাতে ডাইজেসটিভ ফাইবার নেই। ফলে তাড়াতাড়ি হজমও হয়ে যায় ও বারবার খিদে পায়। ফলস্বরূপ শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয়। ফাইবার নেই তাই দ্রুত হজম হয়ে রক্তে সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়।
ভাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৭০-এর বেশি। রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স জাতীয় খাবার (ডাল ও শাক-সবজি ইত্যাদি) ডায়েটে রাখা উচিত।
১৫০ গ্রাম ভাতে ২০০ ক্যালোরি থাকে। প্রয়োজনের বেশি ভাত খাওয়ায় রাশ টানতে না পারলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা অসুখ বাসা বাঁধে। এতে উপস্থিত স্টার্চ এবং রিফাইন্ড সুগার ওবেসিটির সমস্যা ডেকে আনে।
ব্রাউন রাইস কতটা স্বাস্থ্যকর?
অনেকের ধারণা, ব্রাউন রাইস খেলে এই ভয় নেই, রক্তে সুগারের মাত্রাও ঠিক থাকবে। বলা বাহুল্য, এটা একটা মিথ। দুই প্রকার চালেই কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরির মাত্রা সমান। ব্রাউন রাইসে খোসা থাকায় তাতে প্রোটিন, ফাইবার ও আয়রন বেশি থাকে। খরচসাপেক্ষও বটে।
প্রত্যেকটি মানুষের গঠন, আয়তন, উচ্চতা ও কী রোগ রয়েছে তার প্রকারভেদের তারতম্য অনুয়ায়ী ভাতের পরিমাণ ও খাদ্যতালিকা আলাদা হয়। ক্যালোরিভ্যালু বেশি থাকায় খুব অল্প পরিমাণে সঠিক খাবারের তালিকাতে ভাতকে রাখতে হবে।
কতটা খাবেন?
৩০ বছরের পর থেকে মানব শরীরে বেসাল মেটাবলিক রেট কমতে শুরু করে যা বয়স বাড়ার সঙ্গে আরও নিচে নামতে থাকে। যাদের সারাদিনে একাধিকবার ভাত খাওয়ার প্রবণতা আছে তাদের মধ্যেই ওবেসিটি, ডায়াবেটিস ও মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। তাই কতটা ভাত একজনের জন্য স্বাস্থ্যকর সেটা জানা জরুরি।
প্রত্যেকের নিজের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত ভাত খেতে পারেন। রোজের ডায়েটে ছোট এক বাটি ভাত সঙ্গে এক বাটি ডাল, দুই বাটি শাক-সবজি রাখুন। যে কোনও একটি প্রোটিন রাখুন। এতে ক্যালোরি ইনটেক কম হবে আর ব্যালেন্সড ডায়েট থাকবে। একটি নীরোগ, সুস্থ শরীরের জন্য ভাতকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ না দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প, পরিমিত খান।
এজেড