লাইফস্টাইল ডেস্ক
৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
শরীরের মেদ ঝরানোর জন্য হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার রীতি বেশ জনপ্রিয়। কেউ আবার সকাল শুরু করেন জিরা পানি খেয়ে। গ্যাস্ট্রিক, পেটফাঁপা সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে এই পানীয় দারুণ কাজ করে। কিন্তু এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কী হয়?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, জিরা-পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার মেলে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ের পাশাপাশি মেটাবলিজম অর্থাৎ বিপাকহার সংক্রান্ত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি। তবে কেউ যদি মনে করেন, জিরা-পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে মেদ মোমের মতো গলে যাবে তাহলে তা ভুল।

মেদ ঝরাতে গেলে আগে ক্যালোরি বার্ন করতে হবে। মেটাবলিক রেট যদি ভালো না হয় তাহলে এই কাজটি বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, জিরা পানি এই কাজটি সহজ করে দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, জিরার মধ্যে আছে ‘থাইমল’ নামক এক ধরনের বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যা ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
এক চা চামচ জিরার ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৮। অতএব, শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যাওয়ার ভয় নেই। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার বাতিক ঠেকিয়ে রাখতেও জিরে ভেজানো পানি দারুণ কাজ করে।

শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দেব চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ সবাই। তবে এর সঙ্গে যদি একটু জিরা পানি খাওয়া যায় তাহলে সেই কাজে গতি আসে। জিরাতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ডিটক্সিফিকেশনে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
জিরার মধ্যে বিশেষ এক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে। যা হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। 'International Journal of Medical Research and Health Sciences'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পাকস্থলীর মধ্যে থাকা গ্যাস্ট্রিক জুস ক্ষরণেও জিরের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

'International Journal of Medical Research and Health Sciences'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে জিরা। এটি ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে। খাবার খাওয়ার পর রক্তে থাকা বাড়তি গ্লুকোজ শোষণেও সাহায্য করে।
এনএম