images

লাইফস্টাইল

অনিদ্রা-উদ্বেগ-অবসাদে ভুগছেন? ২-৩ মিনিটেই মিলবে সমাধান

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম

সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বিছানায় গা এলিয়ে দিলেও যেন শান্তি নেই। মাঝরাতে হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায়। মাথায় হাজারটা চিন্তা ভিড় করে তখন। নানা বিষয়ে চিন্তা, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা, রোজকার জীবনের ভালো লাগা, খারাপ লাগার অনুভূতি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। এতে ঘুম যেমন উবে যায়, তেমনি ক্ষতি হয় শরীরও। 

দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে স্বাভাবিকভাবে মনের ওপর তা প্রভাব ফেলে। ঘিরে ধরে অবসাদ। এমনকি মানসিক উদ্বেগও দেখা দিতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

bigstock-160270523.jpg

অনেকেই দুশ্চিন্তা, অবসাদ দূর করতে শরীরচর্চা, মেডিটেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু তাতেও অনেকসময় কাজ হয় না। স্থির হয়ে বসে মেডিটেশনের সময়ও মাথায় নানা চিন্তা উঁকি দেয়। তাহলে উপায়? মনোবিদরা বলছেন, এক্ষেত্রে ডায়েরি লেখার অভ্যাস করলে মনের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হতে পারে। এই কাজে যে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে তেমনটাও নয়। ২-৩ মিনিটই যথেষ্ট।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিনে নিজের সঙ্গে যা কিছু ভালো ঘটেছে তা ডায়েরিতে লিখে রাখার অভ্যাস করতে হবে। এই ধরুন, হঠাৎ করে কোনো পুরনো বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। স্বল্প সময়ের জন্য কথা হলেও আপনার ভালো লেগেছে। সেই অনুভূতিটুকু ডায়েরিতে লিখে রাখুন। 

photo-1529460608-bc455fccd5a4

আবার ধরুন অফিসে দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজ পড়ে আছে। সেটা শেষ করতে পেরেছেন। এর ভালোলাগাও টুকে রাখুন ডায়েরির পাতায়। মোদ্দাকথা, যা কিছু ইতিবাচক ঘটছে, শুধু সেটুকুই লেখার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদরে। 

কী হবে ডায়েরি লিখলে? 

মনোবিদরা জানাচ্ছেন, নেতিবাচক ঘটনার প্রতি আমাদের মন ও মস্তিষ্কের আকর্ষণ বেশি। একারণেই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। উদ্বিগ্ন হই। আর তার থেকেই যত সমস্যা। কিন্তু যে মুহূর্তে আমরা কেবল ইতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করব, ভাবনা-চিন্তার ক্ষেত্রটা আরও প্রসারিত হবে। নিজেদের সম্পর্কে আরও বেশি আশাবাদী হব আমরা। 

good_habit

তবে দুই দিন ডায়েরি লিখলেই যে সমস্যার সমাধান হবে, দুশ্চিন্তা কমবে এমনটা নয়। এজন্য অন্তত দুই সপ্তাহ ধরে ডায়েরি লিখে যেতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে এর প্রভাব দেখা যাবে আমাদের জীবনে।

এনএম