লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
ইসবগুলের ভুসির স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা কম-বেশি সবার জানা। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ করে ইসবগুল পানিতে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শীতকালে ইসবগুলের ভুসি খেলে শরীরে কী ঘটে? এটি কি শীতের জন্য উপকারি? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
শীতে পানির পিপাসা কম লাগে। তাই শীতের শুরু ও শেষের দিকে বেশি ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ে যায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। আর এই সমস্যা এড়াতে দারুণ কার্যকরী ইসবগুলের ভুসি। শীতে এটি খেলে কী কী উপকার হয়?

সকালে খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। চাইলে পানিতে সামান্য চিনি বা মিসরি মেশাতে পারেন। দুধের সাথেও এটি খেতে পারেন। শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে, সেই সমস্যা কমাতে ইসবগুল সাহায্য করে। পাইলস রোগীদের সারাবছর ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
শীতে অনেকেই ডায়রিয়ায় ভুগেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচার দারুণ টনিক হলো ইসবগুলের ভুসি ও দই। এ দুটো উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।

ইসবগুলের ভুসিতে আছে ফাইবার, ফলে হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতিতে হয়। ফলে ক্ষুধা লাগে অনেক কম। তাই ইসবগুল খেলে ওজন কমানো অনেক সহজ হয়ে যায়।
ইসবগুলের ভুসিতে আছে জিলাটিন নামের একটি উপাদান; যা দেহে গ্লুকোজের শোষণ ও ভাঙার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে, রক্তে সহজে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে না। অর্থাৎ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি সাহায্য করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত।
ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাদের অন্ত্রে এক ধরনের স্তর তৈরি হয়। যা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। ফলে, আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাই, হৃদরোগীদের জন্য এটি দারুণ একটি খাদ্য।
এনএম