লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১০ পিএম
কিডনি আমাদের শরীরের এক নীরব কর্মী। রক্ত পরিষ্কার করা, অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দেওয়া সব কাজই করে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিছু ভুল খাদ্যাভ্যাস আর ভুল জীবনযাপনের কারণে কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকসময় যা বুঝতে দেরি হয়ে যায়। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।
কিডনি সুস্থ রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় পর্যাপ্ত পানি পান। একজন সুস্থ মানুষের দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে যাদের কিডনি রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি খাওয়া উচিত।

কিডনি ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় রাখুন তাজা ফল। আপেল, আঙুর, নাশপাতি, পেয়ারা ও আনারসের মতো ফল কিডনির জন্য উপকারি। এসব ফলে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিডনি কোষকে সুরক্ষা দেয়।
লাউ, ঝিঙে, পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসার মতো সবজি কিডনির ওপর কম চাপ ফেলে। নিয়মিত সবজি খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে সাহায্য করে। ভালো থাকে কিডনি।

খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন। ডিমের সাদা অংশ, অল্প পরিমাণ মাছ এবং ডাল ভালো প্রোটিনের উৎস। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাই এসব খাবার নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে।
লবণ কম খেলে রক্তচাপনিয়ন্ত্রণে থাকে, যা কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়ক। রান্নায় অতিরিক্ত লবণ এড়িয়ে চলুন।

পরিমিত পরিমাণে সাদা ভাত বা আটা দিয়ে তৈরি রুটি খেতে পারেন। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়ায়, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
চিপস, আচার, প্যাকেটজাত খাবার, ফাস্টফুডে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার কিডনির ক্ষতি করে।

বার্গার, পিজা, সসেজ, নুডলস ইত্যাদিতে মুখরোচক খাবারে সোডিয়াম ও ক্ষতিকর ফ্যাট থাকে, যা কিডনির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে।
গরু ও খাসির মাংস বেশি খেলে কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। তাই এসব প্রাণীর মাংস পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

কোক, এনার্জি ড্রিংক ও মিষ্টি পানীয় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, যা কিডনি রোগের অন্যতম কারণ।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না। এসব ওষুধ কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

ধূমপান ও অ্যালকোহল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব অভ্যাস কিডনির রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিডনি সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন খাবার ও জীবনযাপনে নজর দিন। খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনুন, সুস্থ রাখুন কিডনি।
এনএম