লাইফস্টাইল ডেস্ক
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
ডায়াবেটিস রোগীরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন। এই মাত্রা নিয়ন্ত্রণে হয়তো চিনি খাওয়া বাদ দিলেন। কিন্তু এতেই কি সুগার লেভেল স্বাভাবিক হয়ে যাবে? না। ডায়াবেটিস রোগীদের তিনবেলার খাবার নিয়েই সচেতন থাকতে হয়। রাতের খাবারের কিছু ভুল রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
রাতে উচ্চ ক্যালোরির খাবার খেলে নষ্ট হতে পারে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা। এমনকী ঘুমের মধ্যেও সুগার লেভেল বেড়ে যেতে পারে। যারা ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসের রোগী, তাদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়। শুধু তা-ই নয়, রাতে বিপাক হারের গতি ধীর হয়ে যায়। শরীর তখন বিশ্রাম নেয়। ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিও করা হয় না। তাই এসময় ভুলভাল খাবার খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি।

রাতের খাবার ডায়াবেটিস রোগীরা কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন চলুন জেনে নিই-
ডিনারে প্রায়ই সাদা ভাত, ময়দার তৈরি রুটি-লুচি খান? এই ধরনের খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক অনেক বেশি। এগুলো কেবল রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না, ডেকে আনে ওবেসিটিও। রাতে যখন এনার্জি লেভেল কম থাকে, তখন এই ধরনের খাবার সহজে হজম হতে চায় না। এতে বদহজমের সমস্যাও বাড়ে।

ডুবো তেলে ভাজা খাবার রাতে এড়িয়ে চলুন। গরুর মাংস, খাসির মাংস, পিৎজা, বার্গার, বিরিয়ানির মতো খাবারে অত্যধিক ক্যালোরি ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই ধরনের খাবার রাতে খেলে বাড়তে পারে সুগার লেভেল। পাশাপাশি ওজনও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
রোজকার বেশিরভাগ রান্নাতেই ঝোল থাকে। কিন্তু রাতের খাবারে মসলাদার ঝোল না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে তা যদি হয় রেস্তরাঁর তাহলে একদমই খাওয়া উচিত নয়। এমন ঝোলে টমেটো সস, চিলি সসের মতো উপাদান ব্যবহার হয়। এতে শর্করাও থাকে। তাই ঝোলের কারণে সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেতে পারে।

খাবার শেষে একটু মিষ্টি কিছু চেখে না দেখলে যেন তৃপ্তি মেলে না। তবে ডায়াবেটিস থাকলে এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। খাওয়া শেষে সন্দেশ, রসোগোল্লা, আইসক্রিম বা চকলেট খাওয়া চলবে না। এমনকি এড়িয়ে চলতে হবে সোডাজাতীয় পানীয়ও। এই ধরনের খাবার ও পানীয় সুগার লেভেল দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
এনএম